"কবরপূজারি কাফে" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: আল্লাহর সাথে কাউকে কোনভাবে শরীক করা হচ্ছে শিরক, তা সেই ব্যক্তি জীবিত হোক বা মৃত; তা জেনে করা হোক বা না জেনে। কান্ডজ্ঞানসম্পন্ন কোন ব্যক্তি আপন সৃষ্টিকর্তাকে ছেড়ে নিজের মতোই কোন এক সৃষ্টির সামনে মাথানত করতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক স্থানেই মানুষ জড়িয়ে পড়েছে কবরপূজার সাথে। লাল সালু দিয়ে সাজানো এই কবরগুলোই যেন হয়ে যাচ্ছে তাদের মসজিদ আর কবরের মৃত ব্যক্তিগুলো তাদের প্রার্থনার কেন্দ্রবিন্দু। “কবরপূজারি কাফের” বইটিতে কবর পূজার ভয়াবহ পরিণাম তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি বইটি পড়লে আমরা এই ধরনের শিরকের ভয়াবহতা থেকে নিজেদের ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের রক্ষা করতে পারবো।
"কবরপূজারি কাফে" বইয়ের সূচি: আমাদেরস্বপ্ন......৮ ১. আলােচনা যে প্রেক্ষাপটে শুরু......৯ ২. গােমরাহীতে জীবনপার......১৩ ৩. একত্ববাদের তরি......২১ ৪. একত্ববাদের অস্বীকার যে সময় থেকে শুরু......২৬ ৫. রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ইমরান ইবনে ।হুসাইন (রা.)-এর পিতার আচরণ......২৯ ৬. শিরকের চিত্র......৩২ ৭. গম্বুজ ও দরগার প্রকারভেদ......৫১ ৮. শায়খ বরকতের মাজার......৬০ ৯. মাজারের দৃশ্য......৭২ ১০. শিরকের সূচনা যেভাবে হয়......৭৮ ১১. চারটি প্রশ্ন ও উত্তর......৮৭ ১২. আল্লাহতাআলার ওপর ইমান আনয়ন......১১২ ১৩. যেসব কাজ করলে ইমান নষ্ট হয়ে যায়......১২৭ ১৪. বিদআতের আলােচনা......১৪৬
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় ""দাওয়াত ইল্লাল্লাহ"" বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।