‘স্বনির্ভর গ্রামীণ কুটিরশিল্প’ বইয়ের ভূমিকাঃ সুধী পাঠক সমাজ ও শিল্পোদ্যোগীদের কাছে ‘গ্রামীণ কুটিরশিল্প’ সমাদৃত হওয়ায় উৎসাহিত হয়ে এই সংস্করণে আরও কিছু নতুন প্রকল্প যুক্ত করলাম। এই সঙ্গে বইটির নামকরণের কিছু পরিবর্তন করে ‘স্বনির্ভর গ্রামীণ কুটির শিল্প’ করা হল। নতুন শিল্প স্থাপনের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি। শিল্পোদ্যোগীদের কাছে আমার বিনীত নিবেদন, কাজ আরম্ভ করার আগে হাতে-কলমে কিছু শিক্ষা নিয়ে নিন। প্রত্যেক জেলা শিল্পকেন্দ্র বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মাঝে মধ্যে এ-ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। স্কিম তৈরি করার সময় বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতি রাখবেন। যদি একান্তই কোনো অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম না হন তাহলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য সম্মিলিতভাবে আপনার জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে আবেদন করুন। বর্তমান উন্নত প্রযুক্তির যুগে চাকরির বাজার ক্রমশই সীমিত হচ্ছে। কারণ বড় কলকারখানাগুলি হয়ে উঠেছে আরও বেশি স্বয়ংক্রিয় ও যন্ত্রনির্ভর। অফিস-আদালতে চাকরিও প্রতিযোগিতামূলক। তাই চাকরির আশা ছেড়ে নিজেকে স্বনির্ভর করার সহজ উপায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপন। এজন্য সরকারিভাবে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যবসার কাঁচামাল এবং উৎপন্ন সামগ্রী গুদামজাত করার ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে। বাজারের চাহিদার উপর নির্ভর করে কাঁচামাল এবং জিনিস তৈরি করাই ভালো। কারণ, এমন অনেক কাঁচামাল আছে যেগুলি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক উৎপন্ন সামগ্রী দীর্ঘদিন অবিক্রিত অবস্থায় থাকলে তার জৌলুসও ক্রমশ হ্রাস পাবে। ফলে ক্রেতারা সে জিনিস পছন্দ করবেন না। সুতরাং সবদিক বিবেচনা করেই এগুলি করা দরকার। কাজ আরম্ভ করলে শিল্পোদ্যোগীরা নিজেরাই সে বিষয়ে সচেতন হতে পারবেন। এই গ্রন্থের নতুন স্কিমগুলি তৈরি করার সময় বিভিন্ন জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজারের সাহায্য ও সহযোগিতা পেয়েছি। এছাড়া কুটির শিল্প দপ্তরের আধিকারিক মাননীয় অশোক সরকার মহাশয় আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। প্রকল্প রচনায় তার সৎ পরামর্শের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তৃতীয় সংস্করণের কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য যাঁদের অকৃপণ সাহায্য আমি পেয়েছি তাদের মধ্যে দে'জ পাবলিশিং-এর কর্ণধার মাননীয় সুধাংশুশেখর দে এবং সুভাষচন্দ্র দের নাম উল্লেখযোগ্য। শিল্পোদ্যোগীরা এই বই থেকে সামান্যতম উপকার পেলে আমার শ্রম সার্থক মনে করব। স্বপনকুমার ঘোষ সূচি* প্রধানমন্ত্রী রোজগার যোজনার নিয়মাবলি-৯ * কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্প গঠনের জন্য কোথায় যোগাযোগ করতে হবে-১০ * কোথায় কী পাবেন-২৩ * খাতা আর বই বাঁধানোতে ভালোই লাভ-২৮ * খাতা তৈরি ও বই বাঁধানোর স্কিম-২৯ * ফোমের ব্যাগ তৈরি লাভজনক-৩০ * ফোমের ব্যাগ তৈরির স্কিম-৩১ * উল বোনার লাভের দিক-৩৩ * উল বোনার স্কিম-৩৪ * পাঁপর তৈরিতে সাশ্রয় অনেক-৩৫ * পাঁপর তৈরির স্কিম-৩৬ * পি.ভি.সি. ফাইল কভার, অ্যালবাম তৈরিতে প্রচুর লাভ-৩৭ * পি.ভি.সি. ফাইল কভার ও অ্যালবাম তৈরির স্কিম-৩৮ * বড়ি তৈরির কাজ কারবার-৩৯ * বড়ি তৈরির স্কিম-৪০ * সাবান তৈরি মন্দ কী-৪১ * সাবান তৈরির স্কিম-৪২ * মোমবাতি তৈরি বেশ জরুরী-৪৪ * মোমবাতি তৈরির স্কিম-৪৫ * হোগলাও বেশ কাজের বটে-৪৭ * হোগলা তৈরির স্কিম-৪৮ * শাঁখা সিঁদুরের সঙ্গে নোয়াও এখন শিল্প-৪৮ * নোয়া তৈরির স্কিম-৪৯ * কাঠের আসবাবপত্র ও খোদাই শিল্পের আয়ের দিক-৫০ * কাঠ খোদাই শিল্পের স্কিম-৫২ * পোলো বল তৈরি লাভজনক-৫২ * পোলো বল তৈরির স্কিম-৫৩ * চিকন শিল্পের কাজ-৫৪ * চিকন শিল্পের স্কিম-৫৬ * লোহার কাজে আয় ভালো-৫৭ * লোহা শিল্পের স্কিম-৫৭ * বাঁশের তৈরি জিনিসের বাজার ভালো-৫৯ * বাঁশ শিল্পের স্কিম-৬১ * বিড়ি বেঁধেও রোজগার করা যায়-৬২ * বিড়ি তৈরির স্কিম-৬৩ * তাঁত শিল্পের কাজে আয় ভাল-৬৪ * তাঁত শিল্পের স্কিম-৬৫ * তালাচাবির যথেষ্ট চাহিদা আছে-৬৭ * তালাচাবি তৈরির স্কিম-৬৮ * পিতলের বাসন তৈরি-৬৯ * পিতলের বাসন তৈরির স্কিম-৭১ * জুতো তৈরি এখন তো সময়োপযোগী-৭২ * জুতো, চপ্পল তৈরির স্কিম-৭৩ * হাতপাখা তৈরি করেও আয় করা যায়-৭৪ * হাতপাখা তৈরির স্কিম-৭৫ * কাগজের থালা ও গেলাস তৈরি-৭৬ * কাগজের থালা ও গেলাস তৈরির স্কিম-৭৭ * পরচুলায় বাড়তি আয়-৭৮ * পরচুলা তৈরির স্কিম-৮০ * আগরবাতি তৈরি শিল্প-৮১ * আগরবাতি তৈরির স্কিম-৮২ * শাটল্ কক্ তৈরি শিল্প-৮৩ * শাটল্ কক্ তৈরির স্কিম-৮৪ * মৌমাছি পালন সব দিক থেকেই লাভজনক-৮৬ * মৌমাছি পালনের স্কিম-৮৭ * নকল গয়নার কাটতি অনেক-৮৮ * ইমিটেশন গহনা তৈরির স্কিম-৮৯ * তৈরি পোশাক-৯০ * রেডিমেড পোশাকের স্কিম-৯১ * শশালা শিল্পের কাজ-৯২ * শোলা শিল্পের স্কিম-৯৪ * শিঙের তৈরি জিনিসের চাহিদা ভালো-৯৫ * শিঙের তৈরি জিনিসের স্কিম-৯৬ * মাটির বাসন তৈরি করেও আয় করা যায়-৯৭ * মাটির বাসন তৈরির স্কিম-৯৮ * নাইলনের দড়ি তৈরি লাভজনক-৯৯ * নাইলনের দড়ি তৈরির স্কিম-১০১ * জরি শিল্পের কাজ-১০২ * জরির কাজের স্কিম-১০৩ * মাদুর তৈরি করেও আয় করা যায়-১০৪ * মাদুর তৈরির স্কিম-১০৬ * ড্রাই সেল ব্যাটারি তৈরি-১০৭ * ড্রাই সেল ব্যাটারি তৈরির স্কিম-১০৮ * মেশিনে মুড়ি ভেজেও রোজগার করা যায়-১০৯ * মুড়ি তৈরির স্কিম-১১০ * পেরেক তৈরির ব্যবসা লাভজনক-১১১ * পেরেক তৈরির স্কিম-১১২ * স্কুল ব্যাগ তৈরির স্কিম-১১৩ * মেশিনে গুল তৈরি করেও আয় করা যায়-১১৪ * মেশিনে গুল তৈরির স্কিম-১১৫ * প্লাস্টিকের খেলনা তৈরি করেও আয় করা যায়-১১৬ * প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির স্কিম-১১৬ * ব্রয়লার মুরগি পালন লাভজনক-১১৭ * বয়লার মুরগি পালনের স্কিম-১১৮ * শূকর পালন লাভজনক-১১৯ * শূকর পালনের স্কিম-১২০ * ছাগল পালন করেও আয় করা যায়-১২১ * ছাগল পালনের স্কিম-১২১ * গুঁড়ো মশলা-১২৩ * গুঁড়ো মশলার স্কিম-১২৪ * মাশরুম চাষ করার খামার-১২৬ * মাশরুম চাষের স্কিম-১২৭ * গ্রামীণ বেকারি-১২৮ * গ্রামীণ বেকারির স্কিম-১২৯ * জ্যাম ও জেলি তৈরি-১৩১ * জ্যাম-জেলি তৈরির স্কিম-১৩২ * সিমুই এবং চাউ চাউ-১৩৪ * সিমুই এবং চাউ চাউ-এর স্কিম-১৩৫ * পলিথিনের ব্যাগ তৈরির প্রকল্প-১৩৭ * পলিথিন ব্যাগ তৈরির স্কিম-১৩৮ * প্লাস্টিকের মগ, জার, টিফিন কৌটো-১৩৯ * প্লাস্টিকের মগ, জার, টিফিনকৌটো তৈরির স্কিম-১৪০ * বল পেন ও রিফিল তৈরি-১৪২ * বলপেন ও রিফিল তৈরির স্কিম-১৪৩