জন্ম - ১৯৩১-এ। শৈশব কাটে ঢাকার বিক্রমপুরে। তারপর থেকে মিছিল নগরীতে। ছাত্রজীবন কাটে লৌহজঙ্গ ও কালীধন স্কুলে। '৪৯-এ টেনেটুনে ম্যাট্রিক পাশ। কিছুকাল আশুতোষ কলেজে পড়ি । প্রথম চাকরী ফুড-রিলিফে, দ্বিতীয় ন্যাশন্যাল রাবারে। স্থিতি পাই – পোর্ট ট্রাস্টে। '৫৪ পর্যন্ত প্রথম ডিভিশনের গোলী। ক্লাব খিদিরপুর। রেফারীং-এ হাতেখড়ি ’৫৬-তে। দক্ষিণ কোলকাতার লেক-মাঠে। তখনো রবীন্দ্র সরোবর ষ্টেডিয়াম গড়ে ওঠেনি। স্পোর্টস ফেডারেশনের সচিব ছিলাম। রেফারী না এলে, সচিব হয়েও বাঁশী ধরতাম। সেই থেকেই ন্যাক। ‘সি.আর.এ’-তে প্রথম পা রাখি '৬০ সনে। প্রথমবার ফেল করি। বাঘের কাটামুণ্ডু ব্যাজ পাই '৬২-তে। '৬৪-তে প্রথম বাঁশী বাজাই প্রথম ডিভিশনে। '৭২-এ হই জাতীয় রেফারী। রোভার্স ছাড়া সব মেজর টুর্ণামেন্টে বাঁশী ধরি বহুবার। বাঙ্গার হয়ে জাতীয় আসরে আমন্ত্রণ পাই চারবার। ক্লাব ও সরাসরি ইন্টারনাশন্যাল ম্যাচ পকেটে আছে মোট নয়টি। সেই অর্থে আমি ইন্টারনাশন্যাল রেফারী হলেও ফিফার ব্যাজধারী রেফারী নই। নীতিভ্রষ্ট দাদাদের দরবারে মুখ থুবড়োতে পারি নি বলেই প্লেনে চড়া হয়নি। '৮৪-তে ইতি টানি রেফারীর জগৎ থেকে। আমার দায়বদ্ধতা আগামী প্রজন্মদের নিয়ে। এখনো পড়াশোনা করি, আর্টিকেল লিখি, লেকচার, পরীক্ষক ও পর্যবেক্ষকের কাজ সমাধা করি জেলা স্তর থেকে - সর্বভারতীয় স্তরে। অল ইণ্ডিয়ার রেফারীস বোর্ডের আমি 1. ছিলাম পূর্বাঞ্চলীয় সদস্য। বেঁচে থাকার ও এগোবার রসদ পাচ্ছি আমার এই বই থেকেই।