ভূমিকা উদ্ভিদ দেহে একাধিক উপক্ষার (Alkaloids) আছে, এবং তা দিয়ে কোনও না-কোনও রোগ নিরাময় করা সম্ভব। প্রাচীন শল্যচিকিৎসক জীবক তক্ষশিলায় তাঁর গুরুর কাছে আয়ুর্বেদ অধ্যয়ন করতে যান। দীক্ষান্তে তাঁর গুরু আদেশ করলেন, ‘যাও এবার নগরের বাইরে পর্বতাঞ্চলের উদ্ভিদরাজির মধ্যে যেগুলি মানুষের খাদ্য বা ভেষজরূপে কাজে লাগে না তাদের এক তালিকা তৈরি করে নিয়ে এসো'। জীবক হাজার হাজার উদ্ভিদ প্রজাতি পরীক্ষা করে অকেজো উদ্ভিদের সন্ধান পেলেন না, তিনি অবসন্ন দেহমন নিয়ে গুরুর কাছে তা নিবেদন করলেন। উপাখ্যানটির সারমর্ম এই, খাদ্য বা ভেষজ হিসাবে মানুষের কাজে লাগে না এমন উদ্ভিদ নেই। সেই সুবাদে প্রত্যেক উদ্ভিদকে ভেষজ উদ্ভিদ বলা চলে। নয়নতারা (Vinca)-য় বাহান্ন প্রকার উপক্ষার আবিষ্কৃত হয়েছে যা দিয়ে অনেক রোগ নিরাময় করা সম্ভব। তামাক গাছের দেহে পাওয়া যায় নিকোটিন যা প্রধানত মাদক ও ভেষজগুণ সম্পন্ন। ধুতুরার পল্লবসহ বিটপে আছে স্ট্র্যামোনিয়াম (Stramonium) নামে এক উপক্ষার যা বেশি মাত্রায় বিষ ও অল্প মাত্রায় রোগ নিরাময়ে সক্ষম। এ বইয়ের প্রথম খণ্ডে প্রায় ১০০ টি বাছাই-করা ভেষজ উদ্ভিদের বর্ণনাসহ তাদের ভেষজগুণগুলির বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে।
তিনি ১০ মে ১৯৩৪ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাসুদেববেড়্যা গ্রামে। ১৯৫৬ তে বি এ পাশ। গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে এবং এনসিসি এর ইনফ্যান্ট্রি শাখায় প্রশিক্ষণ লাভ। সপ্তম বেঙ্গল ব্যাটালিয়নে অফিসার পদে যোগদান, ১৯৬৩; পরে ক্যাপটেন কমিশন লাভ, ১৯৬৯। ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিকে এনসি সি অফিসার ও গ্রন্থাগারিকের পদ (১৯৬০-১৯৯২) থেকে অবসর গ্রহণ। ঝাড়গ্রামের সুপ্রসিদ্ধ গোলাপ নার্সারি ‘হর্কালচারাল এরিনা’র প্রতিষ্ঠাতা। মিউটেশন-ব্রিডিং পদ্ধতিতে লতানে ডালিয়ার উদ্ভাবক। দক্ষ উদ্ভিদ-প্রজননবিদ। সুগন্ধি ফুলকে বাণিজ্যিক পণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহারের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। বিজ্ঞানভিত্তিক ফুলচাষ বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় একাধিক জনপ্রিয় বইয়ের লেখক।