"বডি ম্যাসাজ" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ম্যাসাজ এক ধরনের করিয়ে দেওয়া ব্যায়াম, যার ভূমিকা স্পাের্টস মেডিসিন ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ৩০০০ বৎসর আগে গ্রিসদেশে প্রথম ম্যাসাজের প্রচলন হলেও চিন, জাপান, ইংল্যান্ড, মিশর, তুরস্ক, পারস্য, রােম প্রভৃতি দেশের মতাে ভারতেও ২৫০০ বৎসর আগে থেকেই স্বাস্থ্যরক্ষা ও রােগ নিরাময়ের জন্য ম্যাসাজের প্রচলন ছিল। মাংসপেশীর কার্যকরী ক্ষমতা ও অস্থিসন্ধির গতিবিধি রক্ষায় ও রােগ নিরাময়ে ম্যাসাজের প্রয়ােগ কীরূপ হবে, তা এই বই-এ অজস্র ছবি-সহ বর্ণনা করা হয়েছে।
"বডি ম্যাসাজ" বইয়ের লেখকের কথা: দেহে মাংসপেশীর সংখ্যা অজস্র। প্রতিটি মাংসপেশীর কিছু না কিছু কার্যকারী ক্ষমতা আছে। কোনও কারণে মাংসপেশীর সেই কার্যকারী ক্ষমতা হ্রাস হওয়ার ফলে সেটি রােগগ্রস্ত ও দুর্বল হয়ে পড়লে ম্যাসাজের মাধ্যমে কীভাবে তাকে সুস্থ ও সবল করে তােলা যায়—এটিই এই বই-এর বিষয়বস্তু।
বইটিতে অস্থি, অস্থিসন্ধি এবং প্রধান প্রধান মাংসপেশীগুলির ছবিসহ বর্ণনা ছাড়াও পেশীগুলির উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে? কোথায় এসে শেষ হয়েছে? সেখানে কোন নার্ভ সাপ্লাই দিচ্ছে? পেশীগুলির কার্যকারী ক্ষমতা কী কী? সেই কার্যকারী ক্ষমতা হ্রাস হলে সেখানে কী কী ম্যাসাজ প্রয়ােগ করা যেতে পারে? কী কী প্যাসিভ ও অ্যাকটিভ এক্সারসাইজ প্রয়ােগ করা যেতে পারে তা ভালােভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এ ছাড়া ম্যাসাজ ট্রেনিং চলাকালীন ছাত্রছাত্রীদের তােলা ছবিগুলির মধ্য থেকে বেশ কিছু ছবি এবং অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। আশাকরি চিকিৎসা কাজের সুবিধার জন্য ম্যাসাজের কেন প্রয়ােজন হয় এবং এর উপকারিতা কী কী? সে সম্বন্ধে সাধারণ মানুষকে অবগত করার সঙ্গে সঙ্গে প্র্যাকটিশনারদের চিকিৎসা কাজে বইটি ভীষণভাবে সাহায্য করবে।
Dr. Swapon Bhattacharya জন্ম ০১-০৮-১৯৫৫ সালে, ধানবাদ জেলার কুমারডুবিতে, লেখাপড়া ও শৈশব কেটেছে বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে, বর্তমানে কর্মসূত্রে কলকাতায়। ডাঃ ভট্টাচার্য বায়োকেমিক চিকিৎসা, যোগ চিকিৎসা, ফিজিওথেরাপি, ম্যাসাজ, আকুপ্রেসার, রেইকি, জ্যোতিষ বিজ্ঞান প্রভৃতি বিদ্যায় পারদর্শী ও একাধিক বিষয়ের গ্রন্থ প্রণেতা এবং এস. বি. যোগা রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও এস. বি. যোগা মেডিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও অধ্যক্ষ, যাঁর বহু ছাত্রছাত্রী আজ দেশ-বিদেশে সমাদৃত ও প্রতিষ্ঠিত।