যেখানটায় নামি সেটা দিলকুশার একটা রাস্তা, মিলেছে বঙ্গভবনের পাশের রাস্তায়। নগরীর ব্যস্ততম জায়গার মধ্যে এটা যেন নির্জন এক অপরাধ জোন। দশটা উনচল্লিশে আমি যখন সেখানে পৌঁছাই তখন পাঁচটা লোক, তিনটা রিক্সাওয়ালা আর একটা বেবিট্যাক্সি দাঁড়িয়ে। লোক পাঁচজনের দুজন সিগারেট টানছে। একজন পান খাচ্ছে আর দুজন কথা বলছে। রহস্যময় ফিসফিসানি নিয়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কয়েকটা পুরনো রং ওঠা বিল্ডিং। কালো দেয়ালের নিচে ছড়িয়ে আছে কাগজ, পোড়া সিগারেট, সিগারেটের প্যাকেট, চুন লাগানো পানের ডেট, ছেড়া ঠোঙ্গা, কিছু ভেজা চা পাতা। সামনে সিগারেট আর পানের বক্স নিয়ে বসা ভ্রাম্যমান দোকান। একপাশে একটা চায়ের টঙ্গ। রাস্তায় সামান্য পানি জমে আছে। চায়ের কাপ ধোয়া পানি একটি। পানির স্রোত সাবধানে বাঁচিয়ে একটা ভবনে ঢুকি। নিচতলার দু'পাশে সারি সারি রুম, মাঝে টানা অন্ধকার, সরু করিডোর। দুজন করে লোক বসা। দু'একজন দাঁড়ানো। ছোট ছোট কারখানাগুলো কয়েকটি বাইন্ডিংখানা, কোনোটায় বানানো হচ্ছে এনভেলাপ, কোনোটায় বাঁধাই করা হচ্ছে চটি বই। দু'একটায় কাটিং মেশিন। কাজ চলছে প্রায় সব রুমে। কাটিং মেশিনের আওয়াজ উঠছে। বাইন্ডিংখানা থেকে আসছে হাতের চাপরের আওয়াজ। প্রত্যেক রুম থেকেই লোকজন কৌতূহল নিয়ে উঁকিঝুকি মারছে।
নূর কামরুন নাহার জন্ম ১০ মার্চ ১৯৭১। পৈত্রিক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা। পিতা এ.টি.এম. শরফুজ্জামান, মাতা মরহুম কানিজ নূরজাহান বেগম। স্বামী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। দুই ছেলে জাহিদ নূর, জুবায়ের নর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় এমএ দীর্ঘদিন বিআইডব্লিউটি-র জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে ডিপিডিসি-র ম্যানেজার (পিআর) পদে কর্মরত আছেন। লেখালেখি শুরু স্কুল জীবন থেকে। নিয়মিত লেখালেখি করেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। জেন্ডার ইস্যু, নারী ক্ষমতায়ন, নারী উন্নয়ন ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অসংখ্য ফিচার/প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।