চন্দ্রশিলার ঘাটে খুব ভোরে স্নান করছে কুঞ্জলতা। কুঞ্জলতা প্রতিদিন খুব সকালে ভদ্রগাতি গ্রামের সামনে যে বিশাল ময়দান পড়ে রয়েছে তার আশপাশে অযত্নে বেড়ে ওঠা ছোটো ছোটো জঙলার মধ্যে যেসব বুনোফুল ফুটে থাকে তা সে তুলে নেয় আর আপন মনে গুনগুন করে গান করে। সকালবেলার এ দৃশ্য অতি মনোরম। যে দেখেছে তার কাছে ভালো লেগেছে। সকালের একটি অসম্ভব সৌন্দর্য আছে তা দেখতে পেলে- যার দেখার মন আছে তাকে খুব ভোরে উঠতে হবে। ভদ্রগাতি গ্রামের এ ময়দান পেরোলেই ছোটো নদী বা একটি বড়ো খাল। এর নাম চন্দ্রশিলা নদী। এই চন্দ্রশীলা নদীর তীরে শরৎকালে ফুটে থাকে অনিন্দ্যসুন্দর শ্বেত কাশফুল। লোকে একে সংক্ষেপে বলে চন্দ্রশিলার কাশবন। যাদের মনে বড়ো ব্যথা অথবা বড়ো সুখ তারাই আশপাশের গ্রামগুলোতে নারীপুরুষ ভেদে বন্ধু-বান্ধব বা সই-সাঙাতদের বলে থাকে, "চল যাই চন্দ্রশিলার কাশবন দেখে আসি।” চন্দ্রশিলার এই অসম্ভব সুন্দর কাশবন দেখে কারো মনে "শান্তি বাড়ে আবার কারো মনে দুঃখ বাড়ে। কিন্তু চন্দ্রশিলার এই কাশবন সে নিজে কিন্তু নিরপেক্ষ। চন্দ্রশিলা নদীতে ঢেউ বড়ো কম। বর্ষাকালে চন্দ্রশিলা ফুলে ফেপে উঠলেও বন্যায় এর দুকূলের গ্রামগুলো ভেসে গেছে এমন দৃশ্য কখনো...