প্রস্তাব পেয়ে প্রথমে মনাস্থর করতে পারে নি তুষার। দিন দুয়েক সময় নিয়োছল ভেবে দেখার জন্য। ঋক ফোন রাখার আগে বলেছিল "দ্যাখ তুষার, তোকে আমি চিনি। তোর যোগ্যতা, তোর সততার উপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে বলেই ফাদারকে তোর নামটা বলেছি। ফাদার আমায় খুবই আস্থাভাজন মনে করেন, স্নেহ করেন। ইন্টারভিউটা জাস্ট একটা ফর্ম্যালিটি। তোর চেয়ে বেটার অপশন আর কে হতে পারে? তুষার সান্যাল, এক্স বেঙ্গল রঞ্জি ক্যাপ্টেন। তোর এত সব নজরকাড়া পারফর্ম্যান্স, এতো রেকর্ড-তোর থেকে বেটার ক্রিকেট কোচ সেন্ট লরেন্স খুঁজলেও পাবে আর?" "কিন্তু ঋক...” তুষার ইতস্তত করেছিল। "কোন কিন্তু নয়। আমি জানি তুই কি নিয়ে ভাবছিস। গেট ওভার দ্যাট তুষার। কোর্ট তোকে ক্লিনচিট দিয়েছে। বিসিসিআই তোর এগেইনস্টে ব্যান তুলে নিয়েছে। তারপরেও..." তুষার দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিল, "ফিরে আসতে পারলাম না তো আর। নিজেকে প্রমাণ করতে পারলাম না। একটা চোট সব শেষ করে দিল।” “তাও তো দুটো সিজন বেঙ্গলের হয়ে খেলেছিস। ঐ ইনসিডেন্টটার পর ফিরে এসে ভাঙা পা নিয়ে দুটো সিজন কে খেলতে পারে বলতো?” “চোটটা শরীরে ছিল না ঋক। ছিল মনে। আই ওয়াজ নট কনফিডেন্ট এনাফ টু প্লে টু মাই লেভেল বেস্ট। বেটিংয়ের অভিযোগের পর আমার চারপাশের মানুষজনই অচেনা হয়ে গিয়েছিল যেন। যারা এতগুলো বছর ধরে আমায় জানত, চিনত-তারাও অবিশ্বাসের চোখে তাকাত। পিছন ফিরলেই ফিসফাস করত। জুনিয়ারদের চোখেও যতটা সম্মান