ভূমিকা জোসে সারামাগো ১৯২২ সালে আলেনটেজোর উত্তরে এক ছোট্ট কৃষি খামারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যখন খুব ছোট, তখন তাঁর পরিবার লিসবনে চলে আসে। এখানে স্কুল ছাড়ার পর ১৬ বছর বয়সে তিনি একজন মেকানিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি ড্রাফটসম্যান, সমাজসেবা কর্মী এবং প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। প্রথম উপন্যাস লেখেন তিনি ৩৫ বছর বয়সে। কিন্তু এরপর দীর্ঘ বিরতি শেষে তাঁর সত্যিকারের লেখক জীবন শুরু হয় ৪৪ বছর বয়সে। এ সময় তিনি একজন অনুবাদক এবং সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি তিনটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন এবং অনেক ছোটগল্প লেখেন। এ সবই লেখেন তিন তাঁর ‘বালতাসার এ্যান্ড ব্লিমুনডা’ প্রকাশিত হবার আগ পর্যন্ত ইংরেজি ভাষীরা তাঁর সাহিত্যকর্মের স্বাদ পায়নি। তাঁর পরবর্তী উপন্যাস, ‘দ্য ইয়ার অব দি ডেথ অব রিকার্ডো রেইস’ বিদেশী ভাষায় রচিত কাহিনীর জন্য দেয়া ‘ইনডিপেন্ডেন্ট’ পুরষ্কার এনে দেয় তাঁকে। তাঁর উল্লেখযোগ্য অন্যান্য রচনা হচ্ছে- ‘দি হিস্ট্রি অব দি সেইজ অব লিসবন’, ‘দি স্টোন রাফট’, ‘দি গোসপেল গোসপেল এ্যাকর্ডিং টু জেসাস ক্রাইস্ট’। আর ‘ব্লাইন্ডনেস’ তাঁকে এনে দেয় বিশ্বজোড়া খ্যাতি। ১৯৯৮ সালে তিনি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
হােসে সারামাগাের জন্ম ১৯২২ সালের ১৬ নভেম্বর পর্তুগালের আজিহাগা গ্রামের এক কৃষক পরিবারে। তার লেখক জীবন শুরু ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত পাপের জমিন উপন্যাস দিয়ে। এরপর দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর আর সাহিত্যচর্চা করেননি তিনি। ১৯৭৬ সালে তাঁর দ্বিতীয়। উপন্যাস চিত্রকলা ও লিপিকলার সারগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। স্বয়ং সারামাগাে ও সমালােচকবৃন্দ প্রথমদিকের রচনার গঠনমূলক দিক ও স্বতন্ত্র মানের ওপর বেশি গুরুত্ব প্রদান। করলেও তার অধিকাংশ পাঠক ১৯৮২ সালে লেখা ঐতিহাসিক উপন্যাস বাতাসার ও ব্লিমুন্ডা-কে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এই উপন্যাসটিই তার পাঠকপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়। ১৯৯১ সালে তার যিশু খৃষ্টের একান্ত সুসমাচার প্রকাশিত হলে দারুণ হৈচৈ পড়ে যায়। বইটি ক্যাথলিকদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে, এই অজুহাতে পর্তুগিজ সরকার ইউরােপীয় সাহিত্য পুরস্কার এর জন্য বইটি বিবেচনার বিরােধিতা করে। তখন সারামাগাে ও তার স্ত্রী স্পেনের ল্যানজারাে দ্বীপপুঞ্জে পাড়ি জমান ও সেখানে বসবাস করতে থাকেন। ১৯৯৫ সালে তার অন্ধত্ব, ১৯৯৭ সালে সেইসব নামগুলাে ও ২০০০ সালে গুহা প্রকাশিত হয়। এইসব রচনা দার্শনিক নীতিগর্ভ রূপককাহিনী সমৃদ্ধ যা তার পূর্বেকার রচনার সাথে যথেষ্ট পার্থক্য বহন করে। ১৮ জুন ২০১০ সালে হেসে সারামাগাে মৃত্যুবরণ করেন।