বিবেকানন্দের প্রথম আগমন কালে আমেরিকা এশিয়ার আধ্যাত্মিকতার অ্যাংলো-স্যাক্সন পূর্বাচার্যগণঃ এমার্সন, থরো, ওয়াল্ট হুইট্ম্যান . ঊনবিংশ শতাব্দীতে হিন্দু চিন্তাধারায় অনুপ্রবেশের ফলে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে, আমেরিকান চিন্তাধারা কিরূপ প্রভাবিত হইয়াছিল, তাহা জানিতে খুবই কৌতূহল হয়। কারণ আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রে মানসিক ও ধর্মগত যে অদ্ভুত প্রবণতা দেখা যায়, যাহা ইউরোপবাসীদের কাছে এতোই দুর্বোধ্য লাগে, তাহার পশ্চাতে যে হিন্দু চিন্তাধারার প্রচুর অবদান আছে, তাহাতে কোনো সন্দেহ নাই। আমেরিকার এই মানসিক ও ধর্মগত প্রবণতার মধ্যে অ্যাংলো-স্যাক্সন শুচিবাদ, ইয়াংকি কর্মপ্রবণ আশাবাদ, ব্যবহারবাদ, “বিজ্ঞানবাদ” এবং তথাকথিত বেদান্তবাদের সংমিশ্রণ হইয়াছে। কোনো ঐতিহাসিককে আন্তরিকভাবে এই প্রশ্ন লইয়া গবেষণা করিতে দেখা যাইবে কিনা জানি না । তথাপি ইহা একটি প্রথম শ্রেণীর মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা, ইহা আমাদের সভ্যতার ইতিহাসের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এই সমস্যা সমাধান করিবার মতো সম্বল আমার নাই; তবে অন্ততপক্ষে ইহার কয়েকটি উপাদান সম্পর্কে ইঙ্গিত আমি দিতে পারি । যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানত যাঁহারা হিন্দু চিন্তাধারার প্রবর্তন করিয়াছিলেন, তাঁহাদের মধ্যে এমার্সন ১ একজন। এমার্সন ইহা করিতে গিয়া থরো কর্তৃক গভীরভাবে প্রভাবিত হইয়াছিলেন।