মানবজাতি হচ্ছে বিধাতার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এবং এদেরই শ্রেষ্ঠ শিল্প হচ্ছে সংগীত। সংগীতের সাথে মানুষের যেন প্রাণের সম্পর্ক। মানব মনের ভাবনা, অনুভূতির পরিচয় হচ্ছে সংগীত। সংগীত মানব মনের রুদ্ধ দুয়ার খুলে দিয়ে তাদের মনকে সজীব করে তোলে। সংগীত যেন প্রাণস্পর্শী জিনিষ, প্রাণের প্রকাশ ঘটে এরই মাধ্যমে। ভাবের আবেগে বিভোর হয়ে শিল্পীর সংগীত শ্রোতার মনের গভীরে সুপ্ত রসবোধকে জাগিয়ে তোলে। এ ছাড়াও আমরা লক্ষ্য করেছি - আমাদের স্বাধীনতার প্রাক্কালে এই সংগীত নানাভাবে মানুষকে উৎসাহিত করেছে। - প্রাচীনকাল থেকেই সংগীত মানব জীবনের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে। প্রাচীনকালে মুনিঋষিগণ তাদের আত্মার বিকাশের জন্য সংগীতের সাহায্য নিয়েছেন। বিশুদ্ধ সংগীত মানব মনকে শান্ত ও কেন্দ্রীভূতো করতে সাহায্য করে। আত্মবিকাশ ও চিত্তবিনোদন এই দুইয়ী সংগীতের প্রধান উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমেই মানুষের আত্মবিকাশ ও মনোরঞ্জন সম্ভব। সর্বশেষ যে কথাটি বলা যায়- একমাত্র সংগীতই পারে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দূর করে শান্তি ও প্রেম-প্রীতির বন্ধনে বেঁধে দিতে। সত্যিকার অর্থে আমি আদৌও কোনো পণ্ডিত কিম্বা ওস্তাদ নই- তবুও বন্ধুদের উৎসাহে, কিছুটা প্রকাশকদের তাগিদের ফলেই এই "হারানো দিনের গানের স্বরলিপি" করতে আমাকে অনুপ্রানিত করে। আগের প্রকাশিত সংগীতের দু'চারখানি বই বাজারে রয়েছে এবং সে বই গুলির চাহিদা আমাকে প্রেরণা জুগিয়েছে আরও অনেক বেশি।