ফ্ল্যাপ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন আমৃত্যু বাংলার নদী ও নারী, পেশাজীবী মানুষ এবং প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলী ও মানবেতর জীবনের আকৃতি মনের দর্পণে এনে কালি তুলি, জলরঙ এবং স্কেচের মাঝে জীবন্ত করে তুলেছেন। যা তাঁর সৃজিত কৃতকর্মের দ্বারা দেশের শিল্প, শিক্ষা ও সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে শত সহস্র শিল্পীর পথ প্রদর্শক কিংবা জনকের দায়িত্ব পালন করেছেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন তাঁর অমায়িক ব্যবহারে স্বীয় দক্ষতা, অধ্যাবসায়, কর্ম ও প্রচেষ্টায় শাসকগোষ্ঠীর বিপরীতে অবস্থান করেও ঢাকায় চারুকলা ইনস্টিটিউট, সোনারগাঁয়ে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং ময়মনসিংহে জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি যদি জীবন সায়াহ্নে মরণব্যধি কর্কট রোগে আক্রান্ত না হতেন তবে বাঙালি জাতি নিশ্চয় তাঁর নিকট হতে আরো কোন প্রতিষ্ঠান উপহার পেত। নির্লোভ এই শিল্পী নিজ যোগ্যতায় শিল্পাচার্য উপাধিতেও ভূষিত হয়েছিলেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন স্মারক গ্রন্থে’ তাঁর সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য পাঠক সমাজের উপকারে আসবে।
সূচিপত্র আমাদের শিল্পকলা আমাদের সংস্কৃতি চেতনা স্মৃতিকথায় জয়নুল জয়নুল আবেদিন : তার শিল্পভূবন আমার মাস্টার সাহেব স্মৃতিতে চারুকলা ইনস্টিটিউট জয়নুলের পটুয়া ও সমকালীন প্রসঙ্গ এক স্বর্ণোজ্জল শিল্পীর তিরোধানে আপন মানুষ শিল্পাচার্যের শিল্পাঙ্গন এবং শিল্পীসমাজ রঙের রাজা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার জয়নুল ও তার সমকালীন শিল্পীরা জয়নুল স্মৃতি উপেক্ষা ও উদাসীনতার নিদর্শন : শিল্পাচার্যের অপহৃত চিত্রসম্ভার জয়নুলের স্বপ্ন শিল্পাচার্যের ছবি ব্রক্ষপুত্রের জলে বিসর্জন দেয়া হোক ব্রণ্মপুত্রের পাড়ে জয়নুল সংগ্রহশালা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা উপমহাদেশের শিল্পধারায় বিবর্তন ও জয়নুল প্রতিভা জয়নুল আবেদিনের শিল্পীসত্তায় স্বদেশ বাস্তবতা জয়নুল অনুভবে জয়নুল চেতনায় বকুলতলার জয়নুল আবেদিন বাবাকে যেমন দেখেছি দুঃখের ওপর দুঃখ, জয়নুলের জন্য একটি স্বপ্নের মৃত্যু একটি প্রতিবেদন শিল্পী জয়নুল ও তাঁর স্বপ্নের সোনারগাঁও একাত্তরে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের দিনরাত্রি শিল্পী ও অধ্যক্ষ থেকে শিল্পাচার্য আলোর পথের যাত্রী জয়নুল আবেদিনের নানান জগৎ জয়নুল আবেদিনকে দেখা একটি নাটকীয় মুহূর্ত
ঠাকুরগাঁও-এর মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবারের সন্তান মােহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। সরকারী দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি জাদুঘর, ফোকলোর, নৃতত্ব ও জাতিতত্ব বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণায় সংশ্লিষ্ট থেকে বহুসংখ্যক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত অধিকাংশ গ্রন্থই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে নির্বাচিত। কাব্যগ্রন্থ হিসেবে এটিই তার প্রথম প্রয়াস। তিনি দেশবিদেশের বিভিন্ন জাদুঘর ও প্রত্নস্থল পরিদর্শন ছাড়াও বহু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। তিনি দুই সন্তানের জনক।