"তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১৩২" বইটি সম্পর্কে কিছু কথা: আমি ভূত/শামসুদ্দীন নওয়াব: কিশাের ভূত বিশ্বাস করে না। কিন্তু মুসা আর রবিন বলছে কিশােরদের নতুন বাড়িটা ভুতুডে। দুটো পরিবার। স্রেফ উধাও হয়ে গিয়েছিল ও বাড়ি থেকে। ডন বলছে ও নাকি ঘরের ভিতরে ভূত দেখেছে। কিশাের উড়িয়ে দিল ওর কথা। কিন্তু আসলে কী ঘটছে বাড়িটাতে? মহাকাশের ভয়ঙ্কর/শামসুদ্দীন নওয়াব : ঘটনার শুরু দুর্ঘটনা দিয়ে। মহাকাশে দুটি স্পেসশিপ পরস্পর জুড়ে গেছে। এসময় উদয় হলাে কিশাের আর হিরু চাচা। শিপ দুটোকে আলাদা করার দায়িত্ব নিল। তারা। আবিষ্কার করল, যাত্রীদের মধ্যে কেউ ড্রাগ চোরাচালানে জড়িত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, কিশাের আর হিরু চাচাকেই চোরাচালানকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হলাে। দেয়া হলাে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ। এদিকে তাণ্ডব শুরু করেছে হিংস্র জন্তু ম্যানড্রেলের দল, খুন করছে মানুষ। কতদিক সামলাবে চাচা-ভাতিজা? রহস্যভেদী/শামসুদ্দীন নওয়াব: কানাডা পৌঁছেই তিন গােয়েন্দা জানল, ওদের জন্য রয়েছে মহাজটিল দু-দুটি কেস: জাদুঘর থেকে কোথায় গেল শত বছরের পুরনাে সােনা ও লেখক জ্যাক লণ্ডনের ব্যাগ?...নামকরা স্লেডের প্রতিযােগিতায় মাশারদের স্যাবােটাজ করছে কে বা কারা? তদন্তে নামল কিশাের-মুসা-রবিন, জানত না মস্ত বিপদে পড়বে!
জন্মঃ জুলাই ১৯, ১৯৩৬, ঢাকা) একজন বাংলাদেশী লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, এবং জনপ্রিয় মাসুদ রানা সিরিজের স্রষ্টা। সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার হিসাবে তিনি ষাটের দশকের মধ্যভাগে মাসুদ রানা নামক গুপ্তচর চরিত্রকে সৃষ্টি করেন। ডাক নাম 'নবাব'। তাঁর পিতা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন, মাতা সাজেদা খাতুন। তাঁরা ছিলেন ৪ ভাই, ৭ বোন । তিনি ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট গ্রেগরি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএ ও বিএ পাস করেন। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমএ পাস করেন। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা হিসেবে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া পেয়েছেন সিনেমা পত্রিকা ও জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার।