পুরানো সেই দিনের কথা আমার বয়স তখন ছয়, আমার ভাইয়ের তিন। বাড়ির কাছে ছাতা পার্কে বিকেলে ভাইকে নিয়ে রোজ যেতাম। মণিমেলার আসর হত। বাপীদা সে আসর পরিচালনা করতো। একদিন ছাতা পার্ক থেকে ফেরার পথে হোঁচট খেয়ে ভাই পড়ে গেল। আর উঠতে পারে না। কাঁদছে আর বলছে, “যন্ত যন্ত”। ‘যন্ত’ মানে যন্ত্রণা। আমি তাকে কোলে তোলার চেষ্টা করছি। পারছি না। ভাইয়ের কান্না দেখে আমিও কাঁদছি। আমার বন্ধু মালা দৌড়ে গিয়ে বাড়িতে খবর দিল। বাবা এসে ভাইকে নিয়ে গেলেন। ডাঃ এন. কে. চ্যাটার্জী আমাদের পারিবারিক চিকিৎসক। তিনি দেখে বললেন, মনে হয়, কোমরের কাছে ফ্র্যাকচার হয়েছে। এক্স-রে না করলে বোঝা যাবে না। ব্যথা কমানোর ওষুধ আমি দিচ্ছি। তবে কাল একবার তাপস চক্রবর্তীকে দেখিয়ে নেবেন। ডাঃ তাপস চক্রবর্তী অর্থোপেডিক সার্জেন। বেহালার খাদি ভাণ্ডারের উপরে তাঁর চেম্বার। এক্স-রে দেখে বললেন, বাঁ দিকের পায়ের উপরের হাড় ফ্র্যাকচার হয়েছে। প্লাসটার করতে হবে। তাঁর কথামতো সেই রাতেই আমাদের পাড়ার অরূপদা আর মধুদাকে নিয়ে বাবা- মা, ভাই আর আমি রাসবিহারীর অ্যাপোলো নার্সিংহোমে গেলাম। গলা থেকে পা পর্যন্ত