হোয়াইট ফ্যাঙ (ইংরেজি: White Fang) মার্কিন ঔপন্যাসিক জ্যাক লন্ডনের লেখা একটি বিখ্যাত কিশোর অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস। এটি প্রথমে পর্বক্রমে আউটিং ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় ১৯০৬ সালে। এই বইটি ১৯ শতকের কানাডার ইউকন টেরিটোরির ক্লন্ডিক গোল্ড রাশের সময়কে নিয়ে লেখা, এবং মূল চরিত্রে রয়েছে হোয়াইট ফ্যাঙ নামের এক নেকড়েকুকুর। এই বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছে অসীম চট্টোপাধ্যায়। ‘হোয়াইট ফ্যাং’ বইয়ের কিছু অংশঃ শিকারের খোঁজে নদীর বুক জুড়ে বরফের পুরু আস্তরণ। দু’পাশের অরণ্য জুড়ে অথৈ মৌনতা। ঝড়ের পর ঝরে গেছে গাছেদের গায়ে গায়ে জমে থাকা তুষার-চাদর। বরফের অন্তহীন প্রান্তরে বিপদ-সংকেতের মতো দাঁড়িয়ে আছে গাছেদের নিশ্চল মিছিল। চারপাশ জুড়ে শুধুই বরফ আর বরফ আর বরফ। আর হাড়-জমানো ঠাণ্ডা। কোথাও কোনও স্পন্দন নেই, শব্দ নেই, নেই স্বপ্ন। প্রকৃতি এখানে করুণাময়ী নয়। তার রেশমি-ঠোটে হালকা হাসির হিল্লোল, যদিও সে-হাসি স্নিগ্ধ নয়, রুক্ষ। নিয়তির মতো নির্মম, দানবী স্ফিংক্সের মতো অকরুণ। তামাম উত্তরমেরুর তুষারজমা প্রান্তরে নিজেকে বিছিয়ে দিয়ে বিদ্রুপের হাসি হাসছে প্রকৃতি। আহ্বান জানিয়ে যেন বলছেপাঞ্জা লড়ার সাধ থাকে তো আয় রে জীবন। দাঁতে দাঁত চেপে এখানে পাঞ্জা লড়ছে জীবন। এই নির্মম প্রকৃতির বুক চিরে এগিয়ে চলেছে জীবনের অদম্য অভিযান। বরফের ওপর দিয়ে এগিয়ে চলা কুকুরগুলোর সারা গায়ে জমে আছে ঝরে পড়া বরফকুচির সাদা প্রলেপ। চামড়ার মোটা বেল্ট দিয়ে ওদেরকে বেঁধে রাখা হয়েছে শ্লেজটার সঙ্গে। শ্লেজটা তৈরি বার্চ কাঠে। সামনের দিকটা উঁচু মতন, যেন কোনও ময়ূরপঙ্খী নাও উজান বাইছে বরফনদীর ঢেউ ভেঙে….