পুরোনো বাড়ির দিনযাপন আমার মেয়ে সীতার একান্ত আগ্রহ ও উৎসাহে আমার এই লেখাটি লিখতে সাহস হয়। কিছুটা লেখার পর পড়ে শোনাতে স্বামী মিহির মিত্রও খুব খুশি। আমারও উৎসাহ বাড়ে। হঠাৎ হঠাৎ-ই মনে পড়ে যায় নিজের ও বাপের বাড়ির কথা। বিশেষ করে আজকাল যখন দেখি নানা সাময়িকপত্রে বা দৈনিকের পাতায়, পুরোনো কলকাতার দুর্গোৎসব বিষয়ে কতই না রচনা, তখনই মনটা ব্যাকুল হয়। নিজের চোখে দেখা পুরোনো বাড়ির নানা উৎসব ও তার আনুষঙ্গিক ক্রিয়াকর্ম জানাতে ইচ্ছে হয়। বলতে যদিও বা পারি লেখা তো সহজে আসে না। কখনো কখনো কিছু প্রবন্ধ পড়ে মনে হয়, আমিও কিছু বলি বা শোনাই। বর্তমান যুগে ‘বাবু কালচার’ নামক শব্দটি ব্যবহারে এক চমক সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু মনে হয় সে বিষয়ে যাঁরা লেখেন তাঁরা সেসব নিজের চোখে বড়ো একটা দেখেননি কেউ। সব পুরোনো বই থেকে উদ্ধৃতি। আমি পুরোনো কলকাতার এক পুরোনো বাড়িতে জন্মেছিলুম। যেহেতু সেটা অষ্টাদশ বা ঊনবিংশ শতাব্দীর ঘটনা নয়, তাই তার আগের ঘটনা আমিও জেনেছি গুরুজনদের কাছে বা পুরোনো লেখার মাধ্যমে। আমার জন্ম ১৯২৬ সালের ৫ মে, বাংলার ২১ বৈশাখ। সে সময় বাড়ির আবহাওয়া অতি পুরোনো ধাঁচের ছিল। ছিল অন্দরমহল ও বারমহলে বিরাট ব্যবধান ।