"দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ" বইয়ের ভূমিকা: প্রতিটি মানুষ চায় সাফল্য। সকলেই জীবনে সবচেয়ে সেরা জিনিস কামনা করেন। কেউ-ই সাদামাটা জীবনধারা চান না, হামাগুড়ি দিয়ে চলতে চান না কেউ-ই। কেউ-ই দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ হতে চান না, জোর করে তাকে ঐ শ্রেণিতে পাঠিয়ে দেওয়া হলে সে মােটেই খুশি হন না। পবিত্র কোরআনের উক্তিতে বলা হয়েছে লাইসা লিল ইনসানি ইল্লা মাসাআ অর্থাৎ মানুষের জীবনে পরিশ্রম ছাড়া সাফল্য লাভ হয় না। আর পবিত্র বাইবেলের বর্ণনা মতে সফল হওয়ার কয়েকটি ব্যবহারিক উপায় নিহিত রয়েছে, তাতে জানানাে হয়েছে যে, বিশ্বাসে পাহাড়কেও টলানাে যায়। বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম মননশীল ব্যক্তিদের চিন্তাধারায় ‘উন্নত জীবনের গােপন রহস্য মূল। উপাদান ও বিষয়বস্তু খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন প্রফেট ডেভিড বলে গিয়েছেন মানুষ যেমনটি চিন্তা করবে ঠিক তেমনটি হয়ে উঠবে।' এমারসন বলেছিলেন মহাপুরুষরা জানেন চিন্তাশক্তি বিশ্ব সংসার পরিচালনা করছে। মিলটন ‘প্যারাডাইস লস্ট'-এ লিখেছিলেন, মনই আসল, মনই স্বর্গকে নরকে বা নরককে স্বর্গে পরিণত করতে পারে। অদ্ভুত মননশীল ব্যক্তিত্ব শেক্সপীয়র যেমন বলেছেন, ভালাে বা মন্দ বলে কিছু নেই, চিন্তা ভাবনা জিনিসকে ভালাে বা মন্দ করে তােলে। তবে প্রমাণ কোথায়? কী করে বােঝা যাবে এসব মহান বিদগ্ধ ব্যক্তিত্বরা যা বলেছেন তা নির্ভুল? ভালাে প্রশ্ন। তবে প্রমাণ কিন্তু পাওয়া যায়, আমাদের চারিদিকে বাছাই করা কয়েকজন মানুষের জীবনই তার প্রমাণ, সফল হয়ে এরা নিজেদের জীবন সার্থক ও সুখময় করে তুলেছেন। উন্নত জীবনের গােপন রহস্যর যথার্থতা প্রমাণ করেছেন। উচ্চাকাঙ্ক্ষা পােষণ করুন, নিজের জীবনটাকে বিশাল করে তুলুন। সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে বিশাল, সাফল্য ও কৃতিত্বে বিশাল! উপার্জন বিপুল! বন্ধু পরিজন বিপুল! প্রচুর সম্মান, ইত্যাদি গুণে গুণান্বিত হয়ে উঠুন। এবার শুরু করা যাক, এক্ষুণি ভাবতে শুরু করুন আপনার চিন্তা ভাবনা কীভাবে ম্যাজিক করতে পারে। মহান দার্শনিক ডিসরেলির এই বক্তব্য দিয়ে শুরু করা যাক‘জীবনের মেয়াদ এত কম যে জীবনটা তুচ্ছ নগণ্য হতেই পারে না।' সাফল্য মানে আত্মসম্মান, জীবনে অবিরাম ও সত্যিকার সুখ সন্তুষ্টি পাওয়া, যারা আপনার উপর নির্ভরশীল তাদের জন্য আরাে কিছু করার ক্ষমতা অর্জন করা।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।