হারুন হাবীব (জ. ১৯৪৮) মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে তিন অস্ত্র ব্যবহারের সৌভাগ্য লাভ করেন হারুন হাবীব, একটি স্টেনগান, অন্য দুটি কলম ও ক্যামেরা। যুদ্ধ শেষে যে কয়েকজন মুক্তিযােদ্ধা সরাসরি লেখালেখির অঙ্গনে প্রবেশ করেন হারুন হাবীব তাদের অন্যতম। গেরিলা যােদ্ধা ও রণাঙ্গন-সাংবাদিক হারুন হাবীব যুদ্ধকালে ছুটে বেড়িয়েছেন ট্রেঞ্চ থেকে ট্রেঞ্চে, ক্যাম্প থেকে ক্যাম্পে, এক রণাঙ্গন থেকে অন্য রণাঙ্গনে। সেই সুবাদেই মুক্তিযুদ্ধের বহু দুর্লভ ছবি ফ্রেমবন্দি হয়েছে তার ক্যামেরায়- যা জাতীয় ইতিহাসের মূল্যবান দলিল। তাঁর ছােটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধা নাটক ও যুদ্ধস্মৃতি বাঙালির অনন্য ইতিহাসের অসামান্য ছবিযা মুক্তিযুদ্ধ, জাতির গৌরব ও ঐতিহ্য এবং বাঙালির অসাম্প্রদায়িক জাতি-চেতনা তুলে। ধরে শক্তভাবে।
হারুন হাবীবের লেখালেখির সিংহভাগ। মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি সমাজের নিরন্তর। লড়াই কেন্দ্র করে। উল্লেখযােগ্য গ্রন্থগল্প : ছােটগল্প ১৯৭১, লাল শার্ট ও পিতৃপুরুষ, বিদ্রোহী ও আপন পদাবলী, গল্প সপ্তক, স্বর্ণপক্ষ ঈগল, অন্ধ লাঠিয়াল, মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত গল্প । উপন্যাস : প্রিয়যােদ্ধা প্রিয়তম, পাচ পুরুষ, অন্তঃশীলা, সােনালি ঈগল ও উদ্বাস্তু সময়। প্রবন্ধ ও স্মৃতিচারণ : মুক্তিযুদ্ধ : ডেটলাইন আগরতলা, মুক্তিযুদ্ধ : বিজয় ও ব্যর্থতা, জনযুদ্ধের উপাখ্যান, মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত প্রবন্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধ, প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা প্রতিরােধ স্বাধীনতা, রবীন্দ্রনাথের ত্রিপুরা, ইতিহাসের আলােকে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ, গণমাধ্যম ১৯৭১ ও সূর্যোদয় দেখে এলাম। নাটক : অগ্রাহ্য দত্তোৎসব, পােস্টার-৭১। মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যকর্মে সার্বিক অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, কথা সাহিত্যকেন্দ্র পুরস্কারসহ একাধিক সম্মাননা লাভ করেন। হারুন হাবীব বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলাে।