ভূমিকা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায় দেড় দশক ধরে স্কুল-সার্ভিস কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই কমিশন পরিচালিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি বৎসর বিভিন্ন বিষয়ে যোগ্য পরীক্ষার্থীরা শিক্ষক পদে নির্বাচিত হবার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু যেসমস্ত সুচিন্তিত পদ্ধতি অবলম্বন করলে এই পরীক্ষার সাফল্য পাওয়া যায় সেগুলি সম্বন্ধে ধারণা না থাকায় বেশ কিছু মেধাবী পরীক্ষার্থীরা শিক্ষক পদের জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জন করতে পারছেন না। তাদের প্রতি বিশেষ নজর রেখে আমার প্রথম প্রয়াস এই ‘সংস্কৃত পরিচয়'। কমিশনের পরীক্ষায় নির্ধারণ করে দেওয়া নম্বর ও সময়ের কথা মাথায় রেখে এই গ্রন্থে উত্তরগুলি তৈরি করা হয়েছে। এই গ্রন্থটি কোনোভাবেই মৌলিকত্ব বা অভিনবত্বের দাবি রাখেনা। পরীক্ষার বিষয়পঞ্জির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্যগুলি বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করে এখানে একত্রিত করে সুসংহত রূপ দেওয়া হয়েছে। যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হলেও এই গ্রন্থে মুদ্রণত্রুটি থাকতে পারে। আশা করি অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটিকে পরীক্ষার্থীরা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যে সমস্ত গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই গ্রন্থটি সৃষ্টি হয়েছে সেসব গ্রন্থের লেখক, সম্পাদক ও প্রকাশকের কাছে আমার ঋণ অপরিশোধ্য। সর্বোপরি এই গ্রন্থ রচনার পেছনে রয়েছে আমার বাবা মায়ের স্নেহাশীর্বাদ। বইটির শেষে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিগত কয়েক বছরের স্মৃতি নির্ভর প্রশ্নের যথাসম্ভব সঠিক উত্তর দেওয়া হল। এছাড়া পাশ ও অনার্স উভয় পরীক্ষার্থীদের জন্য ৬টি নমুনা প্রশ্নের Set দেওয়া হল যা নিবিড় অনুশীলনে সহায়ক হবে। সবশেষে যেসব পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হচ্ছে তারা উপকৃত ও সাফল্য লাভ করলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে ও আমি ধন্য হব।