“চাণক্য-শ্লোক" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ ভারতের প্রাচীনতম নীতিশাস্ত্রকার-প্রণীত ‘লঘু চাণক্য’ এ দেশের সবর্বত্র প্রচলিত। নীতিশিক্ষা বিষয়ে এরূপ উৎকৃষ্ট গ্রন্থ অতি বিরল। উহার এক একটি শ্লোক এক একটি রত্নস্বরূপ। শৈশবে পাঠ করিলে উহা বালক-বালিকাগণের সহজে অভ্যস্থ হয় এবং সর্বদা মনে থাকে। বয়ােবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাবটি ক্রমে হৃদয়ে দৃঢ়রূপে অঙ্কিত হয় এবং সমস্ত জীবনে সুফল প্রদান করিয়া থাকে। বাল্যকালে সকলগুলির অর্থ সম্যক্ হৃদয়ঙ্গম করিতে না পারিলেও ভবিষ্যৎ জীবনে উহাতে বড় উপকার হয়। কিন্তু প্রচলিত চাণক্য-শ্লোকের অনেক শ্লোক বালক-বালিকাগণের উপযােগীনহে, কোন কোনগুলি তাহাদের সম্পূর্ণ অপাঠ্য। এই ত্রুটী নিরাকরণার্থে এই পুস্তকে সেই সমস্ত শ্লোক বর্জন করিয়া সেই স্থলে মহাভারত, হিতােপদেশ, পঞ্চতন্ত্র প্রভৃতি গ্রন্থ হইতে সবর্বজন-পরিচিত নীতিগর্ভ শ্লোকসমূহ সন্নিবিষ্ট করা হইয়াছে। পিতামাতার প্রতি কর্তব্য, কুসংসর্গের দোষ, সৎসঙ্গের গুণ, বিনয় ও শিষ্টাচার প্রভৃতি ছাত্রগণের শিক্ষণীয় বহু নূতন শ্লোক ইহাতে সংগৃহীত হইয়াছে। পুস্তকখানিকে বালক-বালিকাগণের সম্পূর্ণ উপযােগী করিতে যত্নের ত্রুটী করি নাই। পরিশ্রমের ফলাফল সুধীগণের বিবেচনাসাপেক্ষ। নিবেদন ইতি।