"পরশুরামের গল্প: জীবনদৃষ্টি ও শিল্পরূপ" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: স্মরণাতীত কাল থেকে ভারতের সাহিত্য ক্ষেত্রে গল্পকথন রীতি অবলম্বিত হয়ে চলেছে। রামায়ণ, মহাভারতের যুগ পেরিয়ে মধ্যযুগে, এমনকী ইংরেজ শাসিত ভারতবর্ষে সামন্ততান্ত্রিক সমাজকাঠামােয় এই কথকতার ধারাটি ছিল প্রবহমান। আধুনিক বাংলা সাহিত্যে এই কথকতার ধারাটিকে প্রথম প্রতিষ্ঠা দেন ত্রৈলােক্যনাথ। পরশুরামের গল্পে এই ধারাটি অভূতপূর্ব ব্যাপ্তি পায়। নাতিবৃহৎ এই গ্রন্থে পরশুরামের গল্পবিশ্বে ব্যবহৃত এই বিশিষ্ট শৈলীটির ব্যবহারের দিকটি মুনশিয়ানার সঙ্গে বিশ্লেষিত হয়েছে। সেইসঙ্গে পরশুরামের জীবনদৃষ্টির স্বাতন্ত্র, তার গল্পে ব্রতকথা, রূপকথা, পুরাণের ব্যবহারের দিকটাও আলােচিত হয়েছে। সর্বোপরি পরশুরামের উল্লেখযােগ্য গল্পগুলি (শ্রীশ্রীসিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড, চিকিৎসা সংকট, ভুশণ্ডীর মাঠে, লম্বকর্ণ, জাবালি, বিরিঞ্চিবাবা, কচিসংসদ, দক্ষিণরায়, উলটপুরাণ, হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি) আলােচিত ও বিশ্লেষিত হয়েছে। গবেষকের গভীর বিশ্লেষণী ক্ষমতা এবং অনুভূতিশীল পাঠকের রসবােধের সমন্বয়ে রচিত এই গ্রন্থরসিক পাঠকের আস্বাদ্য হবে আশা করা যায়।