"মেয়েদের টয়লেটে কী করছিলাম ?" বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ ‘কার্ল মার্কসকে একটা থাপ্পড় মারা দরকার, গান্ধিকে একটা থাপ্পড় মারা। দরকার, আপনারা গ্যান দিয়ে গেলেন। কিন্তু রুটি দিয়ে গেলেন না'—কবিতার। ভাষাকে সুবোধ সরকার এভাবেই ব্যবহার করতে পারেন। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অভ্যেস তার নেই। ''মেয়েদের টয়লেটে কী করছিলাম? কবিতাটি কি আসলে কামদুনি নিয়ে । 'পার্ক স্ট্রিট নিয়ে এক দমক হাসি যা। 'চোখের কোনায় এক বিন্দু জল রেখে যায় ? সুবোধ সরকারের কবিতা সুভাষণ নয়, চিনির ক্বাথ নয়, অন্তমিলের গাজোয়ারি নয় এই ধারণা গত তিরিশ বছরে যেরকম প্রতিষ্ঠিত। হয়েছে, তেমনি আর-একবার উঠে এল। 'সুবোধের রাগ এবং কৌতুক, হিংসা । এবং ভালোবাসা, সঙ্গে ইয়ার্কি দিয়ে। ঢাকা দর্শন প্রতিবাদ মানেই সবসময় 'হাতা গুটিয়ে, শিরা ফুলিয়ে মেট্রো । 'চ্যানেলে গিয়ে দাঁড়াতে হবে কেন? প্রতিবাদের মধ্যেও থাকে সূচিমুখ। সংবেদন, আঠেরো রকমের ধানখেত, অষ্টবিংশতি গোধুলি। জীবনের সবচেয়ে বড়ো এই কাব্যগ্রন্থে সুবোধ সরকার আর-একবার চাবুকের মতো উঠে দাঁড়ালেন যখন তার জীবন। অপরাহুবেলা পার হয়ে চলেছে। যে অপরাহুকালে মানুষ থিতিয়ে পড়ে, তখন সুবোধ তুণীর থেকে তির বের । করে সংযোজনা করছেন একটার পর 'একটা কবিতা, এটা জেনেই যে এই 'ধাবমান তির আর ফেরত নেওয়া । সূচিপত্রঃ আমার বাবা পড়ে আছে ৯ ৪১ পুরস্কার একটি গান্ধিমার্কা ন্যাকামি ১১ ৪২ আমার বাবা ছিঃ ডেমোক্র্যাসি ১২ ৪৩ মা পিঁপড়ের ডিম ১৪ ৪৪ দরজা ইগল কি জানে? ১৫ ৪৫ মন খারাপ পা ১৬ ৪৬ এক কাপ চা বোমা ১৭ ৪৭ বিন্দুমাসি মহাভারতের কুকুর ১৮ ৪৮ পরমা কবি ও মুরগি ১৯ ৪৯ আমার কলকাতা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ২০ ৫০ আর্জেন্টিনা শাহবাগ ২১ ৫১ পঁয়ত্রিশ বছর তার ওখানে ২২ ৫২ ডিকশনারি ফোরপ্লে ২৩ ৫৩ ফুটবল কান কাটাদের জন্য ২৪ ৫৪ রসগোল্লা মুনু মুনু মুনু ২৫ ৫৫ স্কলার ভালোবাসা ২৭ ৫৬ যদি হরিণ শোক এবং হানিমুন ২৮ ৫৭ অ্যানোনিমাস বই ২৯ ৫৮ টাকা আমরা আকাশে বসে খাব ৩০ ৫৯ সুনীলদা বলেছিলেন গুন্ডা ৩২ ৬০ পাপ কাকে বলে? ঋণ ৩৪ ৬১ তিনদিন মেয়েদের টয়লেটে কী করছিলাম? ৩৫ ৬২ একদিন আমার প্রথম প্রেম ৩৭ ৬৩ তিনজন, একজন আমি তখন ৩৯ ৬৪ না করেও ভালো থাকা যায় মর্নিং-ওয়াক ৪০ ৬৫ ওরাল সেক্স চাঁদের হাট ৬৬ ৯৬ মাতাল ঋতু আমার দিদির মতো ৬৭ ৯৭ টাপুর টুপুর মৌরিগ্রাম ৬৮ ৯৮ ওরা দুজন কঁকড়া ৬৯ ১০০ বাবা, ও বাবা ভারত নির্মাণ ৭০ ১০১ ডবল ডিমের ওমলেট রাকেশ তামাঙ ৭১ ১০৪ আমার মাথা ঠিক ছিল না তোমার দুটি অপর স্তন ৭১ ১০৫ কে তোমার শত্রু, বলো প্রথম পাঠ ৭৩ ১০৭ রজনিগন্ধা কফিন হু হু ৭৪ ১০৯ অন্ধ শুধু অন্ধ নয় ১১০ পদ্মলোচন, শান্ত হও পেছনে টিকটিকি লাগলে যা হয় ৭৫ ১১২ হ্যালো আমার প্রথম আমেরিকা ৭৭ ১১৪ মদে মন ভরে না যে নেই ৭৯ ১১৫ পঞ্চায়েতের সাফল্য তুমি আমার খিদের পেটে অন্ন ৮০ ১১৭ আমি কেন সোনাগাছি যাব? জাতীয় সম্পদ ৮১ ১১৮ আমি তখন পেটে লং ডিসট্যান্স সম্পর্ক ৮২ ১১৯ জ্যোৎস্না পিকাসোকে ৮৪ ১২০ সব বাবাই করেন যা চেয়েছিলাম ৮৬ ১২১ মেয়েদের কোন জিনিসটা? কল স্পেড আ স্পেড ৮৯ ১২২ জাস্ট ওয়ান বুলেট এক বালতি রক্ত ৯০ ১২৩ আই.পি.এল / বি.পি.এল ভাত না কফি? ৯১ ১২৪ সেনগুপ্ত চলে যাচ্ছে। আমি ভুল করেছিলাম ৯২ ১২৫ ঘরে যে নেই। তিনজন মাল্লা ৯৪ ১২৬ কোচ বদলাতে হবে মন খারাপ হয় না? ৯৫ ১২৭ কোজাগরি
Subodh Sorkar-এর জন্ম ২৮ অক্টোবর, ১৯৫৮। কবিতা লিখতে এসেছিলেন এমন এক শরণার্থী পরিবার থেকে যেখানে কোনো কবিতা ছিল না। এ পর্যন্ত লিখেছেন ২৬টি কবিতার বই যার মধ্যে আছে— ঋক্ষ মেষ কথা, একা নরকগামী, ছিঃ, ভালো জায়গাটা কোথায়? মণিপুরের মা, চোদ্দো নম্বর ডেডবডি, দ্বৈপায়ন হ্রদের ধারে, একটু আসছি রোরোকে দেখো, ঢপের চপ—যা বাংলা কবিতার সাম্প্রতিক ইতিহাসে এক-একটি থাপ্পড়। ভারতীয় কবিতার পত্রিকা ‘ভাষানগর’-এর সম্পাদক যা তিনি কবি মল্লিকা সেনগুপ্তের সঙ্গে ২৫ বছর আগে শুরু করেছিলেন। দিল্লিতে সাহিত্য আকাডেমির ইংরেজি পত্রিকা ‘ইন্ডিয়ান লিটারেচার’ সম্পাদনা করেছেন। স্ত্রী মল্লিকা যখন হাসপাতালে ভরতি, তিনি দিল্লির কাজ ছেড়ে দিয়ে কলকাতার সিটি কলেজে ফিরে এলেন ক্লাস নিতে। কবিতা পড়তে গিয়েছেন আমেরিকা, ফ্রান্স, গ্রিস, জার্মানি, তাইওয়ান, রাশিয়া, ইস্তানবুল, কানাডা। কোনো পুরস্কার পাননি।। হা হা হা। ভুল হল একটা পেয়েছিলেন কী যেন নাম? বাংলা আকাদেমির অনিতা-সুনীল। ছেলে রোরোকে নিয়ে টালিগঞ্জ সিরিটি শ্মশানের কাছে থাকেন।