“হে যুবক : আজ তবে ফেরা হোক নিড়ে" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ তারুণ্য। শিহরণজাগানিয়া একটি শব্দ। তারুণ্য শব্দটা দেখলেই মনে হয়- সজীব পেলবতায় মাখা। তাই সদা তারুণ্যের জয়গান। তারুণ্যের দ্বারা হয় না এমন কাজ নেই। তাই এখন। তারুণ্যের সময়। প্রতিটি প্রাইভেট সেক্টর থেকে শুরু করে যে কোনাে সেক্টরে আগে বেছে নেয় তরুণদের। কারণ, তরুণদের দ্বারা সমাজ পরিবর্তন করা সম্ভব । ইতিহাসে যতাে মহান কাজ হয়েছে তার সবগুলােই যুবসমাজের হাত ধরে হয়েছে। প্রতিটি উত্থানের নেপথ্যে যুবসমাজের অনস্বীকার্য অবদান ইতিহাসের পাঠকমাত্র জানেন। কিন্তু আফসােস! সেই মুসলিম যুবসমাজ আজ নিজেদের পরিচয়। ভুলতে বসেছে। ভুলতে বসেছে নিজেদের ইতিহাস। আজ তারা নানা সমস্যায় জর্জরিত। দিকভ্রান্ত। বিভ্রান্ত। যৌবনের তাড়নায় তারা হারাতে বসেছে দীন, তাহযীব ও তামাদুন । অবৈধ প্রেমের চোরাবালিতে আটকা পড়েছে বহু আগেই। ইদানিং ইন্টারনেট আর মুঠোফোনের যাচ্ছেতাই অপব্যবহারের ব্যাপারটি তাে সবার কাছে পরিস্কার। তাদের সমস্যাগুলাে কী কী? তা থেকে উত্তরণের উপায় কী? সে বিষয়গুলােই ড. সালমান বিন ফাহাদ আল-আওদাহ তুলে ধরেছেন বেশ ঋজু। বর্ণনাভঙ্গিতে। প্রাঞ্জল ভাষায়। তাঁর শব্দ যেমন সুচয়িত গাঁথুনি তেমন মজবুত। এমন সঙ্কটময় মুহূর্তে বইটি এক মহা উপকারী টনিক হিসেবে কাজে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এমননিতেই ড. সালমান বিন ফাহাদ আল-আওদাহ-এর বই পড়তে শুরু করলে অলক্ষ্যে মন মিশে যায় লেখার ছন্দে। সময় দ্রুত শরীর গুটিয়ে নেয়। বইটি বিশ্বাসী যুবকদের হৃদয়কে সুরভিত করুক।