গল্পটা ইংল্যান্ডের সাসেক্সের । এক মাঝবয়সী লোক ফিরে আসেন তার শৈশবের বাড়িতে, শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে । যে বাড়িতে কেটেছে তার শৈশব, সেটা অবশ্য অনেক আগেই মিশে গেছে ধূলোর সাথে। কিন্তু রয়ে গেছে পথের শেষের সেই পুকুরটা । সাত বছর বয়সে এখানেই ঘটেছিল তার জীবনের সবচেয়ে চমকপ্রদঘটনা, পরিচয় হয়েছিল লেটি হেম্পস্টক আর তার মা ও নানীমার সাথে । লেটির কথা গত কয়েক যুগ মনে পড়েনি তার, তবুও যখন এই পুকুরটার পাশে বসলো (লেটির মতে যেটা একটা সমুদ্র), ফিরে আসতে লাগলো পুরনো সব স্মৃতি । সেই ভীষণ অদ্ভুত, ভীতিকর, বিপদজনক ঘটনার স্মৃতি – ছোট্ট থাকতে যার মুখোমুখি হয়েছিল সে ।
চল্লিশ বছর আগে এই পথের শেষে খামারটায় চুরি করা গাড়িতে বসে আত্মহত্যা করে এক লোক । কিন্তু সেই মৃত্যু যেন অনুরণন ঘটায় খামারের পরিবেশে । এমন কিছু মুক্তি পায়, যার সৃষ্টিই হয়েছে আঁধারের রাজত্ব কায়েমের জন্যে । সাত বছর বয়সে কিছু না বুঝেই তাকে মুখোমুখি হতে হয় বোধাতীত সেই সত্ত্বার । আর লেটি – বয়সের তুলনায় জ্ঞানী, যাদুকরী – কথা দেয় যেকোন মূল্যে তাকে রক্ষা করার।
নিল গেইম্যানের এই যুগান্তকারী আখ্যান, দ্য ওশেন অ্যাট দি এন্ড অফ দি লেন, একটি মডার্ন ফ্যান্টাসি– যা আপনাকে নিয়ে যাবে শৈশবের সেই ভয়, স্বপ্ন আর অদম্য ইচ্ছের দিনগুলোতে । যে দিনগুলো ছিল স্বপ্নের মতন প্রাণবন্ত, প্রজাপতির পাখনার মত রঙিন আর অন্ধকারে চকচক করা ছুরির ফলার মতই বিপদজনক।
পাঠক আপনাকে স্বাগতম এমন এক জগতে, যেখানে সৃষ্টি হয়েছে বাস্তবতা আর পরাবাস্তবতার অপরূপ এক মেলবন্ধন ।
পুরাে নাম নিল রিচার্ড ম্যাককিনন গেইম্যান, জন্ম ইংল্যান্ডের হ্যামশায়ারে। কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সাংবাদিকতা দিয়ে। এর পাশাপাশি বইপত্রের রিভিউও করতেন। প্রখ্যাত বৃটিশ পপ ব্যান্ড ডুরান ঢুর্যান-এর বায়ােগ্রাফি লেখার মধ্য দিয়ে তার লেখক জীবনের সূচনা । এর পর গল্প-উপন্যাস থেকে শুরু করে কমিক্স, গ্রাফিক নভেল, থিয়েটারসহ চলচ্চিত্রের জন্যেও স্ক্রিপ্ট লিখেছেন তিনি। দ্য স্যান্ডম্যান নামের কমিক্স ' বইটিই তাকে খ্যাতি এনে দেয়। হুগাে, নেবুলা, ব্রামস্টোকার অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই জনপ্রিয় লেখক।