শামুকের মতো ঘরবাড়ি পিঠে করে বয়ে বেড়ানোর অভ্যাস ক’জনারই বা হয়?
খুব অল্পবয়সে বাবা-মা মারা যাবার পর বিচিত্র জীবনযাপনের ভেতর দিয়ে অতিক্রম করতে হয়েছে তাঁকে।
কলেজে পড়ার সময় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি চিঠি বদলে দেয় তাঁর জীবনের বাঁক : ‘এ জীবনে মাঝে মাঝে হতাশা আসেই। কিন্তু তার কাছে হার স্বীকার করতে নেই। বেঁচে থাকার সার্থকতা একটাই, শুধু বেঁচে থাকা। কেননা, তারপর তো আর কিছু নেই। যত ভালো লাগা, যত দুঃখ কষ্ট, যত উপভোগ ও আনন্দ বা বিষাদ, সবই তো এই এক জীবনেই!’
মানুষের বিচিত্র সম্পর্ক, দুঃখ-কষ্ট, প্রকৃতি, একাকিত্ব, নিসর্গ তাঁর রচনার অনুষঙ্গ।
প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় ইত্তেফাকের কচিকাঁচার আসরে ১৯৮৭ সালে। তারপর দু’দশক ধরে ধারাবহিকভাবে গল্প, উপন্যাস লিখে যাওয়া। সমসাময়িকদের তুলনায় কম লেখেন তবে যা লেখেয় বার বার দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর ছায়া ফেলে। ‘ঘর থেকে বেরুলেই ঘর’ স্ব-উদ্ভাবিত এই মতবাদে বিশ্বাসী। ভ্রমণ করেছেন জার্মান, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ইতালি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, চেক প্রজাতন্ত্র, ভারত।
নির্বিকার দৃষ্টিতে জীবনকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করার দুঃসাহস রাখেন এই শক্তিমান গল্পকার। ব্যক্তিগত জীবনে সর্বংসহা স্ত্রী, কন্যা অথই আর পুত্র রিদ্য-কে নিয়ে সংসারি হওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা!
লেখক হিসেবে বই পড়ার চেয়ে মানুষের মুখ পড়াকে গুরুত্ব দেন বেশি।