এঁরা ছিলেন তৎকালীন ইউরোপীয়দের জন্য জীবন্ত দুই আতঙ্কের নাম। সুলায়মান যেমন স্থলভাগে ইউরোপের ৮০০ মাইল ভেতরে ঢুকে ভেঙে দিয়েছিলেন তাদের শক্তির মেরুদণ্ড, তেমনি সাগরে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছিলেন খাইরুদ্দিন বারবারুসা। সুলতান যেমন হাঙ্গেরির রণক্ষেত্রে পর্যুদস্ত করেছিলেন ইউরোপের সাত-সাতটি দেশের যৌথবাহিনীর শক্তির মেরুদণ্ড, তেমনি বারবারুসা প্রিভিজার নিকটবর্তী কিরতা উপসাগরে মাত্র ১২০টি যুদ্ধজাহাজ আর কিশতির বহর নিয়ে সুলতানের কোনো প্রকার সাহায্য ব্যতিরেকে এককভাবে সাগরে সলিল-সমাধি ঘটিয়েছিলেন উইরোপীয় ইতিহাসের ৪ শতাধিক যুদ্ধ জাহাজের বৃহত্তম নৌবহটির। খাইরুদ্দিনের হাতে পর্যুদস্ত হয়ে পালিয়ে গিয়েছিল স্পেন অধিপতি চার্লসের অ্যাডমিরাল আন্দ্রে ডুরিয়া। যে পরাজয়ের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে মারা গিয়েছিল ভেনিসের রাজা দুজে। রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছিল চার্লস। সাগর এককভাবে কর্তৃত্বে এসে গিয়েছিল বারবারুসার। সাগরে তাঁর আর কোনোই প্রতিপক্ষ ছিল না। উপন্যাসটিতে উঠে এসেছে এরূপ আরও শিহরণজাগানিয়া অনেক বিজয়কাহিনী। পরতে পরতে উত্তেজনা আর রোমান্টিকতায় ভরপুর এ এক অনবদ্য রচনা।