'আপনার সময় ব্যবস্থাপনা' বইয়ের ভুমিকাঃ সময়ই জীবন। এ কঠিন সত্যটি যে যত দ্রুত বুঝতে এবং উপলব্ধি করতে পেরেছে তার জন্য ততই মঙ্গল। সময়ের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কাজ-কর্মে অগ্রসর হতে হবে। খুবই করিতকর্মা হতে হবে, তবে নিষ্প্রাণ এবং কঠিন হৃদয়ের অধিকারী হওয়া চলবে না। জীবনকে উপভোগ করতে হবে, অবশ্যই কাজ-কর্মের মধ্যে দিয়ে সেটা করতে হবে। পরিশ্রমের মাধ্যমেই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিতে হবে। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যদি ঠিক হয় এবং সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়, কাজে সাফল্য আশা করা যেতে পারে, এর ব্যতিক্রম হলে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে। মনে রাখতে হবে, কোন কাজ শুরুর আগে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, প্রয়োজন হলে বয়স্ক এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা যেতে পারে। মানুষের আশার কোন শেষ নেই, আশা নিয়েই সে বাঁচে। আশা হতে হবে বাস্তবভিত্তিক এবং যৌক্তিক। দূরাশা মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়। কাল্পনিক চিন্তা ভাবনা করে অসুস্থ হওয়ার কোন অর্থ নেই। মানুষ কি চায় এবং কি আশা করে, লক্ষ্য পূরণে কিভাবে কাজ করবে, মন ঠিক করে দেয়, মস্তিষ্ক এক্ষেত্রে প্রবল শক্তিরূপে কাজ করে। কিছু অর্জন করতে হলে অবশ্যই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে আর তখনই আশা জেগে উঠবে। আশার স্রোতা ভেসে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পোঁছানোর চেষ্টা করবে। কাজের চিন্তা করা মাত্রই শুরু করতে হবে। অবহেলা বা পরে করবো এ ধরনের মানসিকতা অবশ্যই বর্জনীয়। কোন কিছুই বসে থাকে না। মনে রেখ, ‘সময় এবং স্রোতা কারো জন্য অপেক্ষা করে না।’ কাজের জন্য যে পরিকল্পনা বা ছক মনে মনে তৈরি করেছো, সেটা কিভাবে সাহায্য করতে পারে, সে সম্পর্কেও ভাববে। পরিকল্পনা, ছক বা কৌশল যদি ভুল হয় তাহলে বৃথা এই পরিশ্রম।
তুমি কি সব সময় ‘ব্যস্ত’; যদিও কোন কিছুর প্রত্যাশা করে কাজ কর না, তাই নয় কি? “মানুষ তার একান্ত ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক বা পেশাগত সময় কিভাবে অতিবাহিত করে এবং সময়কে কিভাবে ব্যবহার করে সে সম্পর্কে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান ও পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্বখ্যাত লেখক এবং পরামর্শক অ্যালেন লেকেইন। বাস্তববাদী মানুষ মাত্রই সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে জানে। স্বল্প ও দীর্ঘ- মেয়াদী সাফল্য কিভাবে অর্জন করা যায় সে পদ্ধতির কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। প্রতিদিনের কার্যসূচিতে কোন কাজটি সর্বাধিক গুরত্বপূর্ণ, দিনের কার্যসূচি তৈরি করে, সে মোতাবেক এগিয়ে যাওয়া এবং আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে কিভাবে সাফল্য অর্জন করা যায়, সে পরামর্শই দিয়েছেন। কিভাবে ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগ করবে, সময় বাঁচাবে বা সময় সংরক্ষণ করবে কিভাবে, অপ্রীতিকর কর্মকা- এড়িয়ে চলবে, নিজ লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হওয়ার পথ দেখিয়েছেন অ্যালেন লেকেইন, মানুষকে পরামর্শ দিয়ে আর্থ সামাজিক উন্নতিতে অবদান রেখেছেন।” তুমি কি সব সময় ‘ব্যস্ত’; যদিও কোন কিছুর প্রত্যাশা করে কাজ কর না, তাই নয় কি? “মানুষ তার একান্ত ব্যক্তিগতসময়ই জীবন। এ কঠিন সত্যটি যে যত দ্রুত বুঝতে এবং উপলব্ধি করতে পেরেছে তার জন্য ততই মঙ্গল। সময়ের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কাজ-কর্মে অগ্রসর হতে হবে। খুবই করিতকর্মা হতে হবে, তবে নিষ্প্রাণ এবং কঠিন হৃদয়ের অধিকারী হওয়া চলবে না। জীবনকে উপভোগ করতে হবে, অবশ্যই কাজ-কর্মের মধ্যে দিয়ে সেটা করতে হবে। পরিশ্রমের মাধ্যমেই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিতে হবে। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যদি ঠিক হয় এবং সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়, কাজে সাফল্য আশা করা যেতে পারে, এর ব্যতিক্রম হলে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে। মনে রাখতে হবে, কোন কাজ শুরুর আগে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, প্রয়োজন হলে বয়স্ক এবং..
মােস্তফা আরিফ ১৯৭২ সালের ৬ অক্টোবর মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার সাচিলাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন শেষে সাংবাদিকতা পেশায় যােগ দেন ১৯৯৯ সালে। দৈনিক অর্থনীতি পত্রিকায় সাব এডিটর হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০২ থেকে ২০০৪ এপ্রিল পর্যন্ত নিউজ টু ডে, ২০০৪ সালের মে থেকে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২০১৩-তে দি নিউ এজ, ২০১৪-তে দি ডেইলি অবজারভারে কাজ করেন। প্রথম বই অনুবাদ করেন মাইকেল এইচ হার্টের ‘দি হান্ড্রেড'। এছাড়া জ্যাকুলিন সুসানের ‘লাভ মেশিন’, মারিও পুজোর ‘দি ডার্ক এরিনা, টাইম ম্যাগাজিন অবলম্বনে ‘এশিয়াকে গড়ল যারা’, ‘বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ শত মনীষী’, পল ক্রিসবাসজেকের ‘জরাথুস্ট্রের সন্ধানে', লুইস সলােমনের ‘দি গ্রেট আনসলভড ক্রাইমস', বিজয় প্রকাশের ‘মেমরি পাওয়ার', আর্থার গােল্ডেনের ‘মেমরিজ অব এ গিসা', এ.জি.ডি ম্যারনের ‘মাফিয়া’, জে, ডােনাল্ড ওয়াল্টার্সের ‘হাউ টু এনরিচ ইওর ম্যারেজ অ্যান্ড ইওর লাইফ, উইলিয়াম ওয়াকার অ্যাটকিনসনের মাইন্ড পাওয়ার: দি সিক্রেট অব মেন্টাল ম্যাজিক, অ্যালেন লেকেনের হাউ টু গেট কন্ট্রোল অব ইওর টাইম অ্যান্ড ইওর লাইফ এবং মেরিলিন পাপানাের ফরবিডেন স্ট্রেঞ্জার তার উল্লেখযােগ্য অনুবাদ গ্রন্থ।