ফ্ল্যাপে লিখা কথা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ঘোষণার পরও দখলদার পাকবাহিনী এবং তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস- এর সদস্যরা নির্বিচারে বাঙালিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ এবং ধর্ষণের মতো বর্বরতা চালিয়েছিল। তাদের এ কার্যকলাপ ছিল যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য এবং পাশবিক তৎপরতা। অথচ বিভিন্ন কারণে আজ পর্যন্ত ওই অপরাধের কোন বিচার বা শাস্তি হয়নি। উপরন্তু ক্ষমতার রাজনীতির প্রাধান্যের কারণে তারা রাজনীতি ও সমাজে হয়েছে পুনর্বাসিত। কিন্তু তাদের কার্যকলাপ দেশেল শান্তি, প্রগতি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তথা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। সেই সঙ্গে সাম্প্রতিককালে দেশে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ জঙ্গি তৎপরতার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। অতি সম্প্রতি তাদের কথাবার্তা মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবমাননাকর, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও কটাক্ষমূলক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। সম্ভবত বাংলাদেশ সৃষ্টির বিরোধিতার জন্য আজও তারা অনুতপ্ত নয় এবং এখনও প্রতিহিংসা পরায়ণ। এসব কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের রোডম্যাপ বিনির্মাণের অঙ্গীকারবদ্ধ বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিকট যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জামায়াতসহ অন্যান্য ধর্ম ব্যবসায়ী রাজনৈতিক দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জোর দাবি উঠেছে। অবশ্য এর বিরুদ্ধ মতও আছে। এসব কিছু নিয়ে দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসমূহে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। ওই লেখা থেকে বাছাই করা কিছু প্রবদ্ধ সম্পাদনা করে বর্তমান সংখলনটি প্রকাশিত হল। এ সংকলনটি উল্লিখিত বিষয়ের একটি প্রয়োজনীয় দলিল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
Title
বাংলাদেশের রাজনীতি যুদ্ধাপরাধী জামায়াত এবং জঙ্গি প্রসঙ্গ - ৬ষ্ঠ খণ্ড