ফ্ল্যাপে লিখা কথা বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের আজ পর্যন্ত বিচার করা হয়নি। এই অসম্পূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করার জন্য জোর দাবি লক্ষ করার মতো। সাঁইত্রিশ বৎসর পরেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের গণ দাবি ও সেই সাথে সংবিধানে বিচারের সুযোগ বিদ্যমান রয়েছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যালেও এ-ধরনের বিচার প্রার্থনা করা যায়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের দখলদার বাহিনীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছিল জামায়াতে ইসলামী নামের দলটির নেতাকর্মীরা। এরা অলবদর, আলশামস্ ও রাজাকার বাহিনী গঠন করে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও, পোড়াও ও গণহত্যায় অংশ নিয়েছিল। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানের সিদ্ধান্তে জামায়াত আবার রাজনীতি করার সুযোগ পায়। বড় বড় রাজনৈতিক দলেল আশ্রয়-প্রশ্রয়ে জামায়াত ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির দেশে ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করে। তাছাড়া গণতন্ত্রবিবর্জিত দলীয় সংবিধান নিয়েই জামায়াত ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক তৎপরতা চালাতে থাকে। পরবর্তীকালে যুদ্ধাপরাধ জামায়াত- এর উদয়ে ধর্মীয় উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী জন্ম নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
জঙ্গিবাদী উগ্র গোষ্ঠী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আজ বাংলাদেশের শান্তি, প্রগতি ও সুস্থ জীবনব্যবস্থর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জামায়াতের রাজনীতির স্বরূপ এবং জঙ্গিতৎপরতা বিষয়ে বর্তমান গ্রন্থটি বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধসমূহ নিয়ে সংকলন করা হয়েছে। গ্রন্থটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি অনন্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হওয়ার দাবি রাখে।
Title
বাংলাদেশের রাজনীতি: যুদ্ধাপরাধী জামায়াত এবং জঙ্গি প্রসঙ্গ - ২য় খণ্ড