“ইতিউতি হাঁটাহাঁটি” -বইয়ের কিছু কথা পাহাড়ে উঠতে হবে কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে স্যার এডমান্ড হিলারী নাকি বলেছিলেন, বিকজ ইট ইজ দেয়ার। ‘ইতিউতি হাঁটাহাঁটি’র লেখক ফুয়াদ বিন ওমরের ভাষ্যও অনেকটা সেরকম। বন্ধুরা যখন বলে ওঠে, এত ঘোরাঘুরির দরকার কী? তখন তিনি অবাক হয়ে উত্তর দেন, ‘আশ্চর্য! ঘুরতে যাব না!’ অর্থাৎ নবীন বয়েসেই তিনি পায়ের তলায় সর্ষের অস্তিত্ব টের পেয়েছেন। হেঁটে বেড়াচ্ছেন নানান দেশের বিচিত্র পথে-প্রান্তরে। দু’টো দিন ছুটি পেলেই তিনি বেড়িয়ে পড়ছেন। এ যেন এক অদ্ভুত নেশা। আর যাবার সময় বন্ধুদেরও আহবান জানাচ্ছেন এবং তাদের না যাবার একাধিক জোরাল কারণকে ‘অজুহাত’ বলে উড়িয়ে দিয়ে আপত্তিকর সব মন্তব্য করছেন। সেসবে অতিস্ট হয়ে এবং তার ফেসবুক পাতায় প্রকাশিত ভ্রমণ-বর্ণনায় প্রলুব্ধ হয়ে ইতঃমধ্যে কেউ কেউ তার সঙ্গীও হয়েছেন। তাদেরও নেশা ধরে যায় যায় অবস্থা। সে গল্প এখন থাক। তিনি ঘোরাঘুরি করেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না, সেসবের সরস এবং প্রায় গ্রাফিক বর্ণনা তিনি নিয়মিত তুলে ধরছেন তার ফেসবুক পাতায়। এবার আরেক ধাপ এগিয়ে বই আকারেও সেগুলো পাওয়া গেল।
এই বই ছাপা হওয়া পর্যন্ত তিনি বত্রিশটা দেশের একশয়ের বেশি শহরে এবং গ্রামে গিয়েছেন। স্বপ্ন দেখছেন আরও অনেক জায়গায় যাবার। এখানে আপাততঃ শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ড্স, নেপাল, মালদ্বীপ, ভারত, সুইডেন, মিশর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক আর জাপানের কিছু অভিজ্ঞতা সংকলিত হল। বইয়ের এক একটি অধ্যায় এক একটি জগত খুলে দেবে পাঠকের সামনে - যা তাকে শুধু মুগ্ধই করবে না অনেকখানি প্রলুব্ধও করবে। এবং প্রলুব্ধ হয়ে কেউ যদি কোন এক ফাঁকে বেরিয়ে পড়তে চান, এই বই তার প্রাথমিক গাইড হিসেবেও কাজ করবে। চলুন প্রিয় পাঠক, তার ইতিউতি হাঁটাহাঁটির সঙ্গী হই।