ফ্ল্যাপে লিখা কথা নোবেলবিজয়ী স্প্যানীয় কবি ভিসেন্তি আলেকজান্ডার একজন পরাবাস্তববাদী কবি। তিনি ছিরেন চিরকুমার। ১৯৭৭ সালে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হন। পুরস্কারপ্রাপ্তির পর ছিলেন একান্তই আবেগমুক্ত এবং পক্ষপাতহীন। তিনি জানান : “নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তি লেখালেখির ক্ষেত্রে কোনোরূপ প্রভাব ফেলবে না। এমনকি তাঁর লক্ষ্য, কিংবা পরিধানে পুরাতন ধুসর রং সোয়েটারেও না”।
তাঁর প্রাথমিককালের কবিতা দুঃখবোধে আকীর্ণ। অধিকাংশ কবিতায় ফুটে ওঠে জরাজীর্ণ পৃথিবীর কলহ, দুঃখ, জরা, ব্যাধি, অসহায়ত্ব এবং যাতনার কথা। মানুষ নির্ভরশীলতা হারিয়েছে প্রকৃতি, মনুষ্যসমাজ ও পরিবেশের ওপর। অদৃশ্য শক্তির স্পর্শ যেন নিয়ন্ত্রণ করছে পৃথিবীর সকল বস্তুনিচয়।
১৯৩৬-১৯৩৯ সময়কালে স্পেনের গৃহযুদ্ধ কবিকে চরমভাবে প্রভাবিত করে। তাঁর Twenty Poems of Vicente Aleixandre অনূদিত হয়ে প্রকাশিত হয় ১৯৭৭ সালে।
ভিসেন্তির প্রথমদিককার পঙ্ক্তিমালা অধিকাংশই মুক্তছন্দে, উচ্চমার্গের পরাবাস্তব কবিতা। প্রকৃতির শোভা, নিসর্গ এবং সমুদ্রকে বিষয়বস্তু বানিয়ে রচনা করেছেন উল্লেখযোগ্য পঙ্ক্তিমালা। নির্মাণ করেছেন নিজস্ব সাহিত্যভুবন। পৃথিবীকে তিনি বলেছেন রহস্যময়তার জগৎ। ভিসেন্তি তাঁর কবিতায় বলতে চান, মানুষ কি অবশেষে প্রকৃতির ওপরও আস্থা হারাবে?
ড. মফিজ চৌধুরী (অনুবাদক) মওলানা ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধুর ভাবশিষ্য বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ, এদেশে সাইকেল ও ট্যানারি শিল্পের পথিকৃৎ-প্রতিষ্ঠাতা ড. মফিজ চৌধুরী স্বাধীনতার পর প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘে যােগদান করেন। ড. মফিজ (উদ্দিন আলি মুহম্মদ) চৌধুরী বিজ্ঞান ও সাহিত্যকে ভিন্নভাবে দেখেননি। যার সাক্ষর প্রবন্ধগ্রন্থ ‘দুর্নীতি : বিপ্লব ও সমকালীন প্রসঙ্গ। লেখালেখি জগতে তার নানামুখী বিচরণ ছিল। প্রায় ১১টি বিদেশী ভাষা লিখতে বলতে পড়তে জানতেন। অনুবাদে ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তিনি উইলিয়াম শেক্সপীয়রের ৬টি ট্র্যাজিডি নাটকসহ গ্রীক নাটক, কোরিয়ার কবিতা, উর্দু কবিতা ইত্যাদি অনুবাদক্ষেত্রে খুবই সুনামের অধিকারী ছিলেন।