ফ্ল্যাপে লিখা কথা সকাল থেকে সারাটা নি কেটে যেত এক অদ্ভুত ঘোরে। সেই ঘোরটুকু কেবল আপনাকে ঘিরে। কেবলই আপনি। আমার কী মনে হত জানেন? শিশুর মতো হয়ে গেছি আমি। হয়তো কোনো পথে হেঁটে চলেছি- ফুলের দিকে দৃষ্টি পড়ল, মুগ্ধ হলাম। প্রজাপতি উড়ে যাচ্ছে, দেখে মু্গ্ধ হলাম। আর অবুঝ শিশুর মতো সেই ফুল, সেই প্রজাপতি পেতে চাইতাম। তখন আপনার মুখটি ভেসে উঠত আমার চোখে। আমি আর ফুল ছুঁতে চাইতাম না, প্রজাপতিও না। হয়তো একদিন সেই ফুল ঝরে পড়ল পথের ধারে, প্রজাপতি উড়ে গেল দূরে, কিন্তু আপনি আমার মনে অবিচল।
তারপর দেখা হল আমাদের। স্বপ্নগুলো মুঠোয় নিয়ে আমি আপনার সামনে দাঁড়ালাম। আপনাকে আগেও তো দেখেছি। ঢাকায় যখন বোনের বাড়িতে ছিলেন আপনি, তখন প্রতিদিন দেখে যে মুগ্ধতা জড়াত উঠত, রঙিন হয়ে উঠত- এসব দেখে কেন যেন ভয় পেতাম আমি! একবার মনে হত- এই স্বপ্ন, মুগ্ধতা, ভালোবাসার গন্তব্য অনেক দূর। আরেকবার মনে হত- এই ভালোবাসা একাই বয়ে নিতে হবে আমার। এখন দেখছি তাই সত্যি হতে চলেছে। তবু ভয় পাই না। আমি পারব। কিন্তু একা একা খুব কষ্ট হবে আমার। কেন জানেন? আমি যখন জ্যোৎস্না দেখি, তখন আপনাকে কল্পনা করি আমার পাশে। যখন গভীর দুঃখে লজ্জাবতীর পাতার মতো গুটিয়ে যাই, তখন আপনাকে পাশে চাই আমি। যখন অসীম জয় করে ফিরি, তখনো আপনাকে পাশে চাই আমি।