ফ্ল্যাপে লিখা কথা এদেশে স্যার রাজনীতি বলতে কিছু নেই। আছে আত্মনীতি। রাজনীতিবিদরা আসলে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। রাজনীতি ব্যাপারটা এখন মানুষের কাছে হতাশার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনারা জনগণের কাছ থেকে এখন অনেকটা বিচ্ছিন্ন। অনেকটা নয়, বলা যায় পুরোপুরি। জনগণ আপনাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতার আসনে বসায়, সেই আসনে বসে আপনারা তাদের কথা ভুলে যান। তাদের সঙ্গে সূক্ষ্ম ছলাকলা করেন। অবশ্য সবাই এমন নয়। তবে বেশির ভাগ।
মন্ত্রী সাহেব বললেন, তোমার মতো কইরা কোনোদিন ভাবি নাই তো! বলো, তুমি বলো। আমি বুঝতে পারছি, তোমার প্রত্যেকটা কথা মূল্যবান।
বলে আর লাভ হবে কী স্যার? আপনাদের কাছে আমাদের কথার কতটুকু মূল্য আছে? আপনাদের মর্জি হলে বড়জোর এলাকায় একটা রাস্তা, একটা রাস্তা, একটা ব্রিজ করে দেন। তাও সলিড নয়। কন্ট্রাকটররা সিমেন্ট-বালু কম দিয়ে কম খরচে কাজ সারে। তিনদিন পরেই যেমন রাস্তা তেমন ব্রিজ। আপনারা তৃণমূল জনগণের কথা ভাবেন না স্যার। অথচ তাদের ভোটেই আপনারা ক্ষমতায় বসেন। তৃণমূল মানুষেরা সারাজীবন বিচ্ছিন্নই থেকে যায় আপনাদের কাছ থেকে। এদেশের মানুষ শত সহস্র আশা নিয়ে আপনাদের ভোট দেয়। কিন্তু তাদের সেই আশা ভেঙে যায়। তৃণমূল মানুষ না খেয়েই থাকে। এদেশে গরিবের নামে কোটি কোটি টাকার সাহায্য আসে। তবু এখনো ক্ষধার্ত মানুষ ডাস্টবিনের খাবার তুলে খায়। দারিদ্র্যসীমার নিচে খাদ্যের অভাব অতটা তীব্র হবার কথা নয়, যাতে মানুষের ডাস্টবিনের নোংরা খাবার কুকুরের সঙ্গে ভাগ করে খেতে হবে। আগে এসব ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধা দূর করুন। আপনারা স্যার তৃণমূল পর্যায়ে নেমে পড়েন।