ফ্ল্যাপে লিখা কথা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ছোটবড় সবার কাছে প্রিয়। বিশেষ করে শিশুদের তিনি খুবই ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধু প্রয়াত হন অপরিণামদর্শী কতিপয় অস্ত্রধারী অরপশুর হাতে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের দু:খ-দুর্দশার সাথী হয়ে মানুষের মধ্যে অমর হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু এখন হয়েছেন মিথ। অহিংসা দিয়ে, মানবপ্রেম দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে সমাজে যে আদর্শ তিনি তৈরি করে গেছেন তার কোনো মৃত্যু নেই, ক্ষয় নেই। ব্যক্তি মুজিব না থাকলেও তাঁর আদর্শ ,তাঁর চিন্তা ,তাঁর কর্ম চিরন্তনভাবে সমাজের চালিকা শক্তি রূপে ক্রিয়াশীল।এই ছোট্র গ্রন্থটিকে লেখক বঙ্গবন্ধুর সংক্ষিপ্ত জীবন পরিচয় ও চুম্বুকে তাঁর জীবনের সাফল্যগুলোর প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলার আনন্দুচ্ছল জীবন, বাব-মায়ের আদর-যত্ন এবং তখনকার সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশে তিনি বড় হয়েছেন তাতুলে ধরেছেন। শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হওয়ার পিছনের যে ইতিহাস তা অত্যান্ত সহজ ভাষায় প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকে গ্রিক পুরাণে বর্ণিত লোকদেবতা প্রমিথিউস-হারকিউলিসের সঙ্গে তুলনা করে আলোচনা করেছেন। প্রমিথিউস-হারকিউলিস দেবতা হয়েও তাঁরা উভয়ই ছিলেন মানবতাবাদী, মানুষের বিপদে সর্বদা তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ নিয়েও শিশু-কিশোর উপযোগী চমৎকার আলোচনা করেছেন লেখক। বইটি শিশু-কিশোরদের অবশ্যই প্রিয় হবে বলে আশা করি। বড়রাও এ বইটি পাঠে আগ্রহী হবেন।
সূচিপত্র * জীবন: সংক্ষিপ্ত পরিচয় * বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলার কথা * রাজনীতি: ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৫ * ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে কিছু কথা * বাংলার প্রমিথিউস: দু:খী মানুষের বন্ধু বঙ্গবন্ধু * ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডি: শহীদানদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
আবদুল ওয়াহাব ১৯৫৫ সালের ২৫ আগস্ট সিরাজগঞ্জ জেলার উলাপাড়া থানার চরতারাবাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ও ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি। ২০০৫ সালে পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর উল্লেখযােগ্য কয়েকটি প্রকাশনা : বাংলাদেশের লােকগীতি, বাংলার লােকবাদ্য, বাংলাদেশের লােকগীতি : একটি সমাজতাত্ত্বিক অধ্যয়ন (তিন খণ্ড), লালন-হাসান : জীবন-কর্ম-সমাজ, ফোকলাের। মানবতাবাদ ও বঙ্গবন্ধু, ছােটদের বঙ্গবন্ধু, মহাত্মা। লালন : মানবতাবাদ ও সংগীত, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : রাষ্ট্রতত্ত্ব ও বাঙালির স্ব-শাসন। বর্তমানে তিনি রেজিস্ট্রার, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ। ইতিপূর্বে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিভাগে অতিথি শিক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলাের বিভাগে ও উত্তরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। তৎপূর্বে বাংলা একাডেমির পাঠ্যপুস্তক বিভাগের পরিচালক এবং বাংলা একাডেমি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী জেবুন নাহার একটি বেসরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও সংগীত শিল্পী। তাদের দুই সন্তান। ছেলে আবু মােহাম্মদ জুবেরি জ্যোতি সহকারী ইঞ্জিনিয়ার, ডিপিডিসি, মেয়ে নুজহাত জাহান জয়িতা লেদার টেকনােলজি ইনিস্টিটিউটে অধ্যয়নরত।