“সহীফায়ে সাজ্জাদিয়া" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ সহীফায়ে সাজ্জাদিয়া একটি দোয়ার গ্রন্থ। ইমাম যায়নুল আবেদীন (তার ওপর শান্তি বর্ষিত হােক) কারবালার বিষাদময় ঘটনার পর থেকে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত মহান আল্লাহর কাছে যেসকল দোয়া ও মােনাজাত করেছেন তার একটি সংকলন এই ‘সহীফায়ে সাজ্জাদিয়া। এটি ‘যাবুরে আলে মুহাম্মাদ তথা মহানবী (সা.)-এর বংশধরের যাবুর’ নামেও খ্যাত। এতে বর্ণিত মােট দোয়ার সংখ্যা ৫৪টি। একই সাথে এটি ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের অমূল্য ভাণ্ডারও বটে। এই গ্রন্থে যেমন ইসলামি চিন্তা-বিশ্বাস ও নীতি-নৈতিকতাকে দোয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে, তেমনি ইসলামের সাংস্কৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বিষয়াবলিসহ কিছু কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম ও শরীয়তের বিধানও দোয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। দোয়া ও মােনাজাতগুলাে মহান আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্ককে অভিনব উপায়ে উপস্থাপন করে। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক অংশে দোয়াগুলাে বর্ণিত হয়েছে বিভিন্ন যুগ ও বিভিন্ন পরিস্থিতির উপযােগী করে। এই গ্রন্থ মহান আল্লাহ্র কাছে। অনুনয়-বিনয় এবং তার দরবারে মনােস্কামনা প্রার্থনার পদ্ধতি ও মানুষকে পার্থিব জীবন থেকে বিমুক্ত হয়ে আল্লাহমুখী হওয়ার শিক্ষা দেয়। ‘সহীফা’র সর্বমােট ৫৪টি দোয়ার মধ্যে কিছু কিছু দোয়া বছরে একবার পাঠ করা হয়, যেমন : ‘দোয়ায়ে আরাফাহ' এবং রমযান মাসের বিদায়ের দোয়া। আবার কিছু কিছু দোয়া মাসে একবার পড়তে হয়, যেমন চাঁদ দেখার দোয়া। আর কিছু কিছু দোয়া রয়েছে যেগুলাে সপ্তাহে একবার এবং কিছু কিছু দোয়া প্রত্যেক দিবানিশিতে একবার করে পড়তে হয়। ১৩ শতাব্দীর অধিককাল যাবত এ গ্রন্থটি সকল ধর্মভীরু, সংযমব্রতী সাধক পুরুষ এবং পণ্ডিত ও লেখকের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়ে এসেছে। এক কথায় বলা যায়, এটি ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনের একটি পরম আধ্যাত্মিক গুপ্তধনের ভাণ্ডার।