বইটির সূচিপত্রের কিছু অংশ: * সূরা আলে ইমরান (সংক্ষিপ্ত আলােচনা) * অনুবাদ (আয়াত ১-৩২) * তাফসীর (আয়াত ১-৩২) * পৌত্তলিকতা, খৃষ্টবাদ বনাম তাওহীদ * সকল রেসালাতের আদি উৎস এক ও অভিন্ন * দ্ব্যার্থবােধক আয়াত নিয়ে মাথা ঘামানাে মুখতা ছাড়া কিছু নয় * সত্যিকার জ্ঞানীদের চিন্তাধারা * মােমেনদের প্রতি আল্লাহর প্রত্যক্ষ সাহায্য * মানবীয় দুর্বলতা ও তার নিয়ন্ত্রণ * মােমেনের গুণাবলী ও তার চাওয়া পাওয়া * ইসলাম সম্পর্কে কিছু সামগ্রীক আলােচনা * তাওহীদের সুবিশাল পরিধি * দ্বীন নিয়ে মতবিরােধ * সে কারণে সকল আমল ধ্বংস হয়ে যায় * আল্লাহ সার্বভৌম ক্ষমতার প্রতিফলন * বিধর্মীদের সাথে মিত্রতার বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশ * অনুবাদ (আয়াত ৩৩-৬৪) * তাফসীর (আয়াত ৩৩-৬৪) * মারইয়ামের জন্ম বৃত্তান্ত * ঈসা (আ.)-এর জন্ম ও তার প্রেক্ষাপট * ঈসা (আ.)-এর মােজেযা ও তার মিশন * ঈসা (আ.)-কে হত্যা করার জন্যে ইহুদীদের ষঢ়যন্ত্র * বিতর্ককারীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ * মানুষ যেভাবে মানুষের ইলাহ হতে চেষ্টা করে * অনুবাদ (আয়াত ৬৫-৯২) * তাফসীর (আয়াত ৬৫-৯২) * মিল্লাতে ইবরাহীম ও মুসলিম ঐক্য * মুসলমান ছদ্মাবরণে ইহুদী খৃষ্টানদের ষঢ়যন্ত্র * নৈতিকতার মানদন্ডে ইহুদী খৃষ্টানদের অবস্থান * ধর্মীয় নেতাদের দুর্নীতি জাতির চরম ধ্বংস ডেকে আনে * আল্লাহর সাথে নবীদের ওয়াদা * ইসলামকে মেনে নেয়া মানবজন্মের প্রথম ও শেষ দাবী * সূরার দ্বিতীয় অংশের সংক্ষিপ্ত আলােচনা * অনুবাদ (আয়াত ৯৩-১২০) * তাফসীর (আয়াত ৯৩-১২০) * হালাল হারামের ব্যাপারে তাওরাত ও কোরআনের নীতি * সর্বপ্রথম কেবলা কাবার ইতিহাস মর্যাদা ও ইহুদীদের ভূমিকা * হজ্জ ফরয হওয়া প্ৰসংগ * মুসলিম সমাজের আহলে কেতাবের ষঢ়যন্ত্র * নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিধর্মীদের অনুসরণ * মুসলমানদের আকীদা বিশ্বাস ধ্বংসে বিধর্মীদের ষঢ়যন্ত্র * মুসলিম জামায়াতের জন্যে কিছু জরুরী জ্ঞাতব্য * আল্লাহকে ভয় করা বলতে কী বুঝায় * ঐক্যবদ্ধতার উপর মুসলিম জাতির অস্তিত্ব নির্ভর করে * মুসলিম জাতির দায়িত্ব কর্তব্য * দল উপদলে বিভক্ত হওয়ার কঠোর হুঁশিয়ারী * গােটা মানবজাতিকে পরিচালনা করা মুসলিম জাতিরই দায়িত্ব * নেতৃত্বের প্রয়ােজনীয় গুণাবলী * আহলে কেতাবদের চরিত্র * মুসলমানদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি * যখন আল্লাহর গযব অবধারিত হয় * বিধর্মীরা কখনােই মুসলামনদের কল্যাণ চায় না * অনুবাদ (আয়াত ১২১-১৭৯) * তাফসীর (আয়াত ১২১-১৭৯) * ওহুদ যুদ্ধ ও তার প্রাসংগিক পর্যালােচনা * ওহুদ যুদ্ধের পটভূমি ও মােনাফেকদের বিশ্বাসঘাকতা * কিছু শিক্ষণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা
সাইয়েদ কুতুব (১৯০৬ - ১৯৬৬) হলেন একজন মিশরীয় ইসলামি চিন্তাবিদ এবং রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি মিশরের ইসলামী আন্দোলনের প্রধান সংগঠন ইখওয়ানুল মুসলিমিন (মুসলিম ব্রাদারহুড) দলের মুখপত্র ইখওয়ানুল মুসলিমিন'এর সম্পাদক ছিলেন। তাকে তৎকালীন সরকার ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত করে। তিনি মিশরের উসইউত জিলার মুশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মূল নাম হল সাইয়েদ; কুতুব তার বংশীয় উপাধি। তার পিতার নাম হাজী ইবরাহীম কুতুব; তিনি চাষাবাদ করতেন। তার মাতার নাম ফাতিমা হোসাইন উসমান। তারা মোট দুই ভাই এবং তিন বোন ছিলেন। তার অপর ভাই হলেন: মুহাম্মাদ কুতুব এবং বোনেরা হলেন: নাফীসা কুতুব, হামিদা কুতুব এবং আমিনা কুতুব। সাইয়েদ কুতুব ছিলেন সবার বড়। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাইয়েদ কুতুবের শিক্ষা শুরু হয়। শৈশবেই কুরআন হেফজ করেন। পরে তাজহিযিয়াতু দারুল উলুম মাদ্রাসায় শিক্ষা সমাপ্ত করে কায়রোর বিখ্যাত মাদ্রাসা দারুল উলুমে ভর্তি হন। ১৯৩৩ সালে ঐ মাদ্রাসা থেকে বি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন এবং সেখানেই অধ্যাপক নিযুক্ত হন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রোণালয়ের অধীনে স্কুল ইন্সপেক্টর নিযুক্ত হন। এবং এ-সময় আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি পড়ার জন্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। তিনি দু’বছরের কোর্স শেষ করে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৫৪ সালে তাকে বন্দি করে মিসরের বিভিন্ন জেলে রাখা হয়। তিনি ছিলেন মিসরের প্রখ্যাত আলেম ও সাহিত্যকদের অন্যতম। ছোটদের জন্যে আকর্ষণীয় ভাষায় নবীদের কাহিনী লিখে তার সাহিত্যক জীবনের সূচনা। পরবর্তীকালে ‘আশওয়াক’ (কাটা) নামে ইসলামি ভাবধারার একটি উপন্যাসও রচনা করেন।