“বিক্রয়বন্ধু রাজিব আহমেদ" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ দেশবরেণ্য স্বনামধন্য বিক্রয় প্রশিক্ষক রাজিব আহমেদ জীবনে যখন যে কাজটা করেছেন, সেখানেই মিলেছে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের স্বীকৃতি ও পুরস্কার। বাংলাদেশে বিক্রয়শিল্পের উৎকর্ষ সাধনে তিনি সুদীর্ঘ দেড় দশক ধরে নিরলস অবদান রেখে চলেছেন। এদেশের অসংখ্য বিক্রয় পেশাজীবী তাকে ভালােবেসে বিক্রয়বন্ধু নামে ডাকেন! ২০০২ সালে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করে চারটি শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক কোম্পানিতে (রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার, বাংলালিংক ও রবি) দুর্দান্ত দশটি বছর কাটিয়ে স্বেচ্ছায় ছুটি নিয়ে এখন মুক্ত বিক্রয় প্রশিক্ষক । প্রশিক্ষিত করেছেন দেড় শতাধিক কোম্পানির ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অতিথি বক্তা/প্রশিক্ষক। হিসেবে জয় করে চলেছেন অসংখ্য শিক্ষার্থী ও দর্শক-শ্রোতার হৃদয়। তিনি আত্মউন্নয়ন ও অনুপ্রেরণামূলক। বইয়ের জনপ্রিয় লেখক এবং বাংলা একাডেমি মনােনীত আঞ্চলিক ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। গবেষক; সব মিলিয়ে গ্রন্থসংখ্যা ৭১। বিক্রয় বিষয়ক তার বাংলা বইগুলাে এদেশের অসংখ্য বিক্রয়শিল্পীকে প্রতিনিয়ত পথ দেখিয়ে চলেছে! এই বইটিও নিঃসন্দেহে বিক্রয়শিল্পীদের বােধ ও বীক্ষণের দরজা খুলে দেবে। গতিধারা’র প্রধান লেখক রাজিব আহমেদএর নির্বাচিত লেখা, সাক্ষাৎকার আর তাকে নিয়ে অন্যদের লেখার সমন্বয়ে ক্ষুদ্র এই প্রয়াস। বইটি শুধু পাঠ্য নয়, অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মতাে।
সিকদার আবুল বাশারের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ঝালকাঠি সদর উপজেলার তারুলি গ্রামে। বাবা আবদুস সামাদ শিকদার, মা সৈয়দা আশ্রাফুন নেছা। তাঁর দাদা তাহসিন উদ্দিন শিকদার মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও আরবি, ফারসি ও উর্দু ভাষায় বিশেষ পারদর্শিতা ও ন্যায়বিচারের জন্য মুন্সিমিঞা খেতাবপ্রাপ্ত। প্রকাশনাশিল্প, প্রচ্ছদ অংকন ও গবেষণাকর্মে সিকদার আবুল বাশার-এর খ্যাতি সর্বজনবিদিত। এই অঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১২ সালে জাতীয় কবিতা পরিষদ, বরিশাল শাখা তাকে সংবর্ধনা দেয়। ঐতিহ্যবাহী চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ ৩৫ বর্ষপূর্তি উৎসব-এ আঞ্চলিক ইতিহাস ও যুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রকাশনায় অবদান। রাখার জন্য তাকে সম্মাননা প্রদান করে। ২০১৫ সালে সিলেট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক নকশী বাংলা এবং অবিরাম উন্নয়ন সংস্থা, নাটোর তাঁকে সংবর্ধনা দেয়। তিনি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক একাডেমি পদক ১৪২৪ লাভ করেন। ২০১৭ সালে পাবনার শিল্প সাহিত্য বিষয়ক পত্রিকা প্রতিভা তাঁকে সংবর্ধনা দেয় ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সােসাইটি পরিচালিত জেলাউপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রকল্পে গবেষণা-সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন । ঝালকাঠি জেলার ইতিহাস ও পটুয়াখালী জেলার ইতিহাস তাঁর অক্লান্ত গবেষণার ফসল। তিনি যৌথভাবে বৃহত্তর বাকরগঞ্জের ইতিহাস গ্রন্থ সংকলন করেন। বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস গ্রন্থসহ ৬৪ জেলার মুক্তিযুদ্ধের। ইতিহাস, আঞ্চলিক ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ক গ্রন্থসমূহ প্রকাশনায় তাঁর ভূমিকা পথিকৃতের। এইচ. বেভারেজ বি.সি.এস-এর দি ডিস্ট্রিক্ট অব বাকেরগঞ্জ : ইটস হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস গ্রন্থের অনুবাদক হিসেবে নন্দিত। ছােটদের জ্ঞান-বিজ্ঞান বিষয়ক অনেকগুলাে গ্রন্থের রচয়িতা। পরপর দুইবার (২০১১-'১৪ ও ২০১৪-'১৬) বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ভােটের মাধ্যমে নির্বাচিত অন্যতম পরিচালক ও বাংলা একাডেমির সদস্য। ভ্রমণ করেছেন আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও ভারত।