ফ্ল্যাপে লিখা কথা শিক্ষিত বেকার যারা চাকরির আশায় বিভিন্ন জায়গায় দৌড়-ঝাঁপ করে সময় নষ্ট করেছেন তারা কিন্তু খুব সহজেই হাঁস মুরগির পালন করে স্বনির্ভর হতে পারেন। ঠিকমতো দাঁড়িয়ে গলে নিজেই হয়তো দশজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
সারের উপরি প্রয়োগের আগে অবশ্যই জমির আগাছ কমাতে হবে পানি কমাতে হবে।চারা রোপনের সময় ছিপছিপে পানি, সার প্রয়োগের পর কুশি বের হওয়ার সময় এবং কাইচথোড় আসার সময় দ্বিগুন পানি নিশ্চিত করতে হবে। তবে চার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, সার প্রয়োগের সময় এবং ধান পাকার সময় জমিতে পানি রাখা যাবে না।
চাষি পর্যায়ে গম বীজ সংরক্ষণ করা জরুরি। গম মাড়াই করার পর দুই থেকে তিন বার রোদে শুকিয়ে বীজের আর্দ্রতা ১২ শতাংশের নীচে আনতে হয়। মাটির পাত্র, টিনের পাত্র কিংবা মোটা পলিথিন ব্যাপে বীজ সংরক্ষণ সবচেয়ে উত্তম। পাত্র অবশ্যই ছিদ্রমুক্ত হতে হবে এবং ঢাকনা শক্তভাবে আটকানো থাকতে হবে। মাটির কলসি বা মটকায় বীজ রাখলে এর বাইরে আলকাতরার প্রলেপ দিয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
দেশী শিং মাছ অনেকরই পছন্দ। বাংলাদেশের খাল-বিল ও অগভীর জলাশয় শিং মাছের বিচরণভূমি হওয়া সত্ত্বেও দিনে দিনে এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বাজারে দুষ্প্রাপ্য এ মাছের দাম এখন আকাশচুম্বী যা সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে । কাজেই এই মূল্যবান এ মাছটির উৎপাদনই বাড়াতে হবে।
ভালো বীজ ভালো ফসল। ভালো ফষল পেতে হলে ভালো বীজ রোপন করতে হবে। লাভজনকভাবে আলু চাষ করতে হলে আলুর রোপণের আগে তা ঠিকমতো তৈরি করে না নিলে রোপণের পর তা ঠিকমতো গজাবে না।
কিছু কথা বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের মানুষের প্রধান পেশা তাই কৃষি। আমাদের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে এই কৃষির উপর নির্ভর করেই। কৃষিপ্রধান দেশ হলেও আমাদের কৃষি ও কৃষকের সমস্যার শেষ নেই। একটি জাতীয় দৈনিকের কৃষিবিষয়ক বিভাগ পরিচালনা করতে গিয়ে সারাদেশের চাষিভাইদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সমস্যাকেন্দ্রিক অগণিত চিঠি পাই। এ সব চিঠি থেকে দেখা যায়, চাষবাস কিংবা খামার করার আধুনিক করাকৌশল সম্পর্কে ধারণা নেই অনেক চাষিভাইদেরই। কোন কাজ কখন কীভাবে করলে বেশি ফলন পা্ওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কেও অনেকে খুব একটা অবগত নয়। সবদিক বিবেচনা করে সারাবছরের কৃষি নিয়ে চাষবাস বারো মাস নামের একটি বই লেখার তাগিদ অনুভব করি। বইটিতে কৃষি, পোলট্রি, পশুপালন এবং মাছ চাষের ওপর সমান গুরুত্ব দিয়ে কোন্ সময়ে কোন্ কাজ করতে হবে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি কৃষি কাজের সাথে জড়িত সব চাষিভাইদেরই বইটি দারুণ কাজে লাগবে।
আরিফ হাসান বিএসসি অনার্স ইন এগ্রিকালচার বিভাগীয় সম্পাদক ,চাষাবাদ,নয়া দিগন্ত।
Arif Hasan জন্ম ৭ অক্টোবর ১৯৭৭ । গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলার শ্ৰীপুর থানায়। গ্রামের নাম গোপালপুর। বাবার নাম গোলাম মুহাম্মদ বিশ্বাস, মা'র নাম সুফিয়া মুহাম্মদ। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স করেছেন। ১৯৯৯ সালে । লেখালেখির শুরু ১৯৮৮ সালে । প্রথম লেখা ছাপা হয়। দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার ছোটদের পাতা হইচই’-এ। প্রথম বই প্ৰকাশ ২০০৬ সালে। যা কিছু লেখেন ছোটদের জন্যই লেখেন । গদ্য-পদ্য উভয় মাধ্যমেই সমান পারদশী । দীর্ঘ দিন ধরে শিশুতোষ ছড়া লিখছেন ইত্তেফাক, প্রথম আলো, যুগান্তর, ভোরের কাগজ, আমার দেশ, যায়যায়দিন, আজকের কাগজ, শিশু, নবারুণ, ছোটদের পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা বিডি নিউজের 'কিডস” এবং কিশোর ভুবন-এ। সমানতালে লিখে চলেছেন বিভিন্ন বিষয়ের উপর মজাদার সব ফিচার। শিশুতোষ বইয়ের অনুবাদেও দারুণ দক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি। শুরুটা প্রথম আলো দিয়ে। অনার্স পাস করার আগ পর্যন্ত কাজ করেছেন। ওখানেই বর্তমানে একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিকে সাব-এডিটর হিসেবে কর্মরত। স্ত্রী সাহিদা শিল্পী ইউসেপ বাংলাদেশ-এ কর্মরত। ২০০৬ সালের অক্টোবরে পুত্ৰ সন্তানের বাবা হয়েছেন। ছেলের নাম অভীক হাসান ।