"আই ওয়াজ হিটলারস মেইড" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: হিটলার শাসিত জার্মানির গেস্টাপাে বন্দি শিবির আর ড্যাচু কনসেনট্রেশন ক্যাম্প থেকে ফিরে আসা পলিন কোহলারের জীবন ছিলাে বৈচিত্র্যময়। নয় দিনের বিবাহিত জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে হিটলারের পুলিশ তাঁর স্বামী কার্ট কোহলকে বন্দি শিবিরে নিয়ে যায়। এর আগে নেয়া হয় তার বাবা ও মাকে। ফলে বেঁচে থাকার জন্য পলিন কোহলকে এক ঝুঁকিপূর্ণ জীবন শুরু করতে হয় । নানাঘাটের জল খেয়ে সৌভাগ্য অথবা দুর্ভাগ্যক্রমে যে মানুষটি পলিনের বাবা, মা ও স্বামীকে তার জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করেছেন, অবশেষে সেই অ্যাডলফ হিটলারেরই সেবাকর্মে নিজেকে নিয়ােজিত করেন পলিন! কিন্তু অনিন্দ্যসুন্দরী এ মেয়েটি কি নিজের ইচ্ছেয় হিটলারকে সেবা করার জন্যে তার গৃহগরিচারিকার দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নিয়েছিলেন? না কি এর পেছনে কোনাে পরিকল্পনা ছিলাে? যদি পরিকল্পনা থেকে থাকে, তবে কি তা বাস্তবায়নে পলিন সফল হয়েছেন? সহকর্মী ও গৃহপরিচারিকাদের সঙ্গে কেমন ছিলাে হিটলারের ব্যবহার? স্বভাব-চরিত্র ও আচার-আচরণে সত্যিই কি তিনি অন্য রাষ্ট্রনায়কদের চেয়ে ব্যতিক্রম ছিলেন? প্রচার করা হয়েছিলাে হিটলারের কোনাে নারীবন্ধু নেই। আসলেই কি তাই? হিটলারের কি কোনাে নারীবন্ধু ছিলেন না? প্রেমভালােবাসা ও বিলাসিতায় অনাগ্রহী ছিলেন তিনি? এ মানুষটি কি প্রকৃত অর্থেই নির্দয় ছিলেন? জীবনে মদ খাননি, ধূমপান করাকে এড়িয়ে গেছেন- এমনই প্রচার করা হয়েছে হিটলার সম্পর্কে। কিন্তু সত্যিই কি তিনি তেমন ছিলেন? এমন সব জিজ্ঞাসার নির্ভুল জবাব খুঁজে পাওয়া যাবে পলিন কোহলারের ‘আই ওয়াজ হিটলার’স মেড' বইটিতে।