ফ্ল্যাপে লিখা কথা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জটিলতা, নিয়ত যুদ্ধ-বিগ্রহ, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, আন্তর্জাতিক বিতর্ক, আবিষ্কার এসব জানার আগ্রহসহ পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে যেকারও পক্ষে পথ চলতে অবশ্যক সর্বসাম্প্রতিক তথ্য। সে-মতে বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতির উপলব্ধিতে সাধারণজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা একান্ত আবশ্যক। বিশেষ করে আধুনিক প্রযুক্তির শনৈঃ শনৈঃ উন্নতির যুগে পিতামাতা-অভিভাবক সকলে সন্তান-সন্ততির মস্তিষ্ককোষের উৎকর্ষ সম্পর্কে অধিক নিশ্চিত হতে চায়।
আমাদের চারপাশে যা ঘটছে, চলমানতার তোড়ে ক্রমশ তা তলিয়ে যাচ্ছে স্মৃতির অতলে। সামনে এসে ভীড় করছে নতুন নতুন তথ্য। এমন তথ্যসমাবেশের মধ্যে সর্বসাম্প্রতিক তথ্যের চাহিদাপূরণে পাঠকের একমাত্র ভরসা ও আশ্রয়স্থল ‘সাধারণ জ্ঞানকোষ’ জাতীয় গ্রন্থ। এ-গ্রন্থ তেমনি এক প্রয়াস।
গত প্রায় পঁচিশ-ত্রিশ বছর যাবৎ রাজধানী ঢাকা সাংস্কৃতিক বির্বতনের এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। হারাতে বসেছে নিজস্ব ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ধারা। ছেলেমেয়েদের হাতে এখন শোভা বৃদ্ধি করে বইয়ের বদলে ভিডিও ক্যাসেট। ক্রমেই জেঁকে বসছে ক্যাবল সংস্কৃতি। ইতিহাস ও সংস্কৃতি যেন কেবলি স্মৃতি। সংকুচিত হয়ে আসছে জ্ঞান দান ও জ্ঞান আহরণের সুযোগ। গাইড বই, অবজেকটিভ মাথাটা নষ্ট করে দিচ্ছে। এমন নৈরাশ্যবাতিা যখন ছুঁইছুঁই, তখনই সহায়ক হিসেবে হাতের নাগালে থাকলো ‘সাধারণ জ্ঞানকোষ’।