"মহিলাদের মুক্তির উপায়" বইটির 'অনুবাদকের আরজ' অংশ থেকে নেয়াঃ সমাজ সৌধের ভিত্তি হচ্ছে মাতৃজাতি, নারী পুরুষ হলাে একে অপরের সম্পূরক। সৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্যে গঠনগত পার্থক্য থাকলেও পরস্পরের সমন্বয় রয়েছে অনেক কিছুতেই। কঠিন যে কোনাে কাজ কর্ম সম্পাদনে পুরুষের ভূমিকা যেমন অগ্রগণ্য, তেমনি আদর্শ পরিবার, সুশৃংখল শান্তিময় সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে পুণ্যবতী নারীর ভূমিকাও অনস্বীকার্য। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুণ্যবতী নারীকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আবার অনেকে নারীকে ফুলের সৌন্দর্য, আদর্শ সঙ্গী, সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ উপাধান হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। সত্যিকার অর্থে নারী জাতি হলাে মহান আল্লাহ রাব্বল আলামীনের এক অপরূপ সৃষ্টি। নারীর ছোঁয়ায় শিশুর কান্না থেমে যায়। অবুঝ শিশুর দেহে জাগে শিহরণ এবং মুখে ফুটে উঠে পবিত্র হাসি। ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে নারীর মর্যাদা, মূল্যায়ন ও অধিকার প্রসঙ্গে নারীকে পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছে। আল-কুরআনে আন-নিসা তথা নারী নামে একটি সূরা এর উৎকৃষ্ঠ প্রমাণ। আল-হামদুলিল্লাহ! মুসলিম মা-বােনদের জন্য এজামানার মুবাল্লেগ হযরতুল আল্লামা তারিক জামিল সাহেব হৃদয়স্পর্শী কিছু বয়ান পেশ করেছিলেন, সেসব বয়ানের মূল্যবান অংশগুলাে বাংলা ভাষায় রুপান্তরিত করে মা-বােনদের জন্য পেশ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, মাওলানা সাহেবের হৃদয়স্পর্শী সে মূল্যবান বয়ানগুলাে আমাদের ‘মা-বােনদের হৃদয়ে হেদায়েতের আলােক বর্তিকা হয়ে যুগযুগ ধরে জ্বলবে। মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের অক্লান্ত মেহনত ও দাওয়াতের বদৌলতে শতশত পুরুষ মহিলা তওবা করে সঠিক পথে ফিরে এসেছেন। এই আশা নিয়েই আমাদের এ প্রয়াস। মহান আল্লাহ পাকের কাছে আরজ করছি তিনি যেন আমাদের মা-বােনদের সঠিক পথে ফিরে আশার তাওফীক দান করেন। আমীন!! বিনয়াবনত শফীকুল ইসলাম এম. এম.
তারিক জামিল (যিনি মাওলানা তারিক জামিল নামে অধিক পরিচিত, জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৫৩) একজন প্রভাবশালী পাকিস্তানি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, দায়ী এবং তাবলিগ জামাতের সদস্য। ইসলাম প্রচারক হিসেবে তার সাধারণ জীবনযাত্রা এবং পাশাপাশি উর্দু ও আরবিতে সাবলীল বক্তৃতা তাকে মুসলিম বিশ্বজুড়ে খ্যাতি এনে দিয়েছে। মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, অভিনেতা, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সকল স্তরের মানুষকে তিনি প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছেন।[১] শিক্ষাজীবনে তিনি তাবলিগ জামাত দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ডাক্তারি পড়াশোনা ছেড়ে নিজেকে ইসলাম শিক্ষায় নিয়োজিত করেছিলেন। ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি সমাজসেবা ও শিক্ষায় অবদানের অংশ হিসেবে তিনি মাওলানা তারিক জামিল ফাউন্ডেশন, জামিয়া আল হুসায়নিয়া মাদ্রাসা ও মিম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০২১ সালে তিনি এমটিজে ব্র্যান্ড নামে একটি কাপড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে তিনি সবসময় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম জরিপে শীর্ষ ৫০-এ অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি দুইবার প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার জিতেছেন।