বই সম্পর্কে কিছু কথা বিপ্লব সংঘটিত করল প্রধানত শ্রমিকরা আর সৈনিকরা। এ বিপ্লবের জন্য তারা রক্ত ঢেলেছে। এবার ধরে নেওয়া হলো সাবেকি ধারায় এখন তারা ফিরে যাবে-সবকিছু ছেড়ে যাবে তাদের ওপরওয়ালাদের হাতে। জারপন্থিদের হাত থেকে জনগণ ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। এবার জনগণের হাত থেকে ক্ষমতা বাগিয়ে নেবার জন্য রঙ্গভূমিতে অবির্ভূত হলো ব্যাংকার আর আইনজ্ঞরা, অধ্যাপক আর রাজনীতিকরা। তারা বলল, ‘জনসাধারণ, গৌরবোজ্জ্বল তোমাদের এ জয়। এবার কাজটা হলো নতুন রাষ্ট্র গড়া। অত্যন্ত কঠিন এক কাজ, কিন্তু, সৌভাগ্যের কথা, আমরা যারা শিক্ষিত, তারা এ শাসনের কাজটা বুঝি। আমরা স্থাপন করব একটা অস্থায়ী সরকার। আমাদের দায়িত্ব গুরুভার, কিন্তু প্রকৃত দেশভক্ত হিসেবে এ দায়িত্ব আমরা কাঁধে তুলে নেব। উন্নতচরিত্র সৈনিকরা, তোমরা ট্রেঞ্চে ফিরে যাও। সাহসী শ্রমজীবীগণ, তোমরা ফিরে যাও, তোমাদের যন্ত্রপাতির কাছে। আর কৃষকরা, তোমরা ফিরে যাও জমিতে।’ রাশিয়ার জনগণ অবাধ্য নয়, অবুঝও নয়। তাই তারা এ বুর্জোয়া ভদ্রমহোদয়গণকে ‘অস্থায়ী সরকার’ গড়তে দিলো। কিন্তু, রাশিয়ার জনগণ নিরক্ষর হলেও বিচক্ষণ। অধিকাংশই লিখতে বা পড়তে জানত না, কিন্তু চিন্তাশক্তি তাদের ছিল। তাই, ট্রেঞ্চে আর কর্মশালায় আর ক্ষেতে ফিরে যাবার আগে তারা নিজস্ব ছোট ছোট সংগঠন স্থাপন করে গেলো। প্রত্যেকটা সামরিক কারখানায় শ্রমিকরা নিজেদের বিশ্বস্ত একজনকে বেছে নিলো। জুতা কারখানায় আর সুতাকলেও শ্রমিকরা তাই করল। তেমনি, ইটখোলায়, কাচের কারখানাগুলোতে এবং অন্যান্য শিল্পে। সরাসরি কাজের জায়গা থেকে নির্বাচিত এসব প্রতিনিধিদের তথা তাদের সংস্থার নাম দেওয়া হলো শ্রমিক প্রতিনিধিদের ‘সোভিয়েত’ বা পরিষদ।
মূল নাম : মো. হাসান তারেক লস্কর, জন্ম তারিখ : ০১ জানুয়ারি ১৯৮৯ ইং, জন্মস্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ, শিক্ষা : ২০১৭ সালে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি পাস করেন। ২০১৯ সালে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলএম পাস করেন। পিতা-ডা. ইদ্রিস লস্কর, মাতা-নাজমা বেগম। হাসান তারেকের গল্প সমাজ সচেতন ও প্রগতিশীল ভাবধারার শৈল্পিক ফসল মাত্র। তার মূল উদ্দেশ্য মানুষের মাঝে মানবিক শক্তিকে সজাগ করা। তার কর্মগুলো জীবনের অর্থ সন্ধানের কিছু প্রয়াসমাত্র। তার প্রতিটি গল্পে জীবনের কিছু শিক্ষণীয় দিক তুলে ধরার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এই শিক্ষাগুলো তিনি তার জীবনবাস্তবতার মাধ্যমে পেয়েছেন। তিনি প্রচুর কবিতাও লিখেছেন। ২০২০ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে তার প্রথম কবিতার বই ‘বিজয়ের মন্ত্র’ প্রকাশিত হয়। ২০২২-এর বইমেলায় প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় বই ‘মাত্রা’। ‘মাত্রা’ একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার বই। বইটি মূলত তিনটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের সমন্বয়ে গঠিত।