"ঢাকার বাইজি উপাখ্যান" বইটির ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ মানব সভ্যতার প্রারম্ভেই মনােতৃপ্তির জন্য বাদ্য, নৃত্য, সঙ্গীত, নাটকের প্রচলন ছিলাে। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত সঙ্গীত, নৃত্য পটিয়সীদের উচ্চ বিত্তদের কাছে কদর ছিলাে। ধ্রুপদী-নৃত্য-গীতে পারদর্শী সম্রান্ত রমনীদের বাই বলা হতাে। শাস্ত্রীয় নৃত্যগীতে পারঙ্গম বাইকে সম্মানসূচক বাইজি বলা হতাে। বাইজিরা সম্রাট, সুলতান, বাদশা, রাজা, নবাব, ধর্নাঢ্য ব্যাক্তি ও জমিদারদের রঙমহলে শাস্ত্রীয় নৃত্য পরিবেশন করতেন। বিনিময়ে তারা অর্থ ও খ্যাতি লাভ করেছিলেন। সার্ধশত বছর আগে ঢাকায় নবাবদের পৃষ্ঠপােষকতায় বাইজিরা কলকাতা হতে ঢাকায় আসেন। তারাই নাচ, গান, চলচ্চিত্র ও নাট্য শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছেন। সেইসব বাইজিদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঢাকার পৌরানিক ইতিহাস। আজ নেই নবাবদের রঙমহল। বাইজিরা তাই কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। হারিয়েছে তাদের ঐতিহ্য-সম্মান। নতুন প্রজন্মকে সেইসব বাইজি জীবনের ইতিকথা জানানাের জন্যই আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। আমার দৃঢ় প্রত্যয় বইটি পাঠকের কছে সমাদৃত হয়ে আনন্দ সঞ্চারের পাশাপাশি ইতিহাসের সম্যকজ্ঞান উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে।
আরিফ নজরুলের জন্ম ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলাধীন ঠাকুর মল্লিক গ্রামে। বাবা আবদুল ওয়াজেদ আলী খান। মা নূরজাহান বেগম। কিশোরবেলা থেকেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি। লিখছেন, ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধসহ সাহিত্যের নানা বিষয়। তার প্রকাশিত উল্ল্যেখযোগ্য গ্রন্থ, ষড়রিপুর ষড়যন্ত্র [কবিতা], মেঘ বৃষ্টি ও পাখির পদাবলি [কবিতা], মনপোড়া বসতবাড়ি [কবিতা], বাতাশসমগ্র [কবিতা], হেঁটে যাই বনবেড়ালির সাথে [কবিতা], রৌদ্রস্নাত বৃক্ষজীবন [কবিতা যৌথ], যে নামে কাঁপছে ঠোঁট [কবিতা], এক যে ছিলো পুতুলরানি [ছোটদের গল্প], নোনাজল [গল্প], বাংলাদেশের শত মণীষী [জীবনীগ্রন্থ]। সাহিত্যে স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন, কবি বন্দে আলী মিয়া স্মারক সম্মাননা ২০০৭, ড. সিকান্দার হায়াত খান ইউসুফজাই সম্মাননা ২০১০, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক ২০১১, মাদার তেরেসা গোল্ডমেডেল ২০১২, ভাষাসৈনিক মাদার বখ্শ স্মৃতি পদক ২০১৩, মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কার ২০১৩