"মুহাম্মাদ সা. ব্যক্তি ও নবী" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাব, আয়াত ২১) এ-আয়াতে বিবৃত হয়েছে ইসলামের একটি মহান নীতি। তা হলো রাসুলের যাবতীয় কথা, কর্ম আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা। ‘আদর্শ হিসেবে গ্রহণ’ অর্থ হলো : তার বক্তব্য ও কর্ম অনুসরণ করা ছোট ও বড় সব বিষয়ে, আচার ও ইবাদতে, ফরজ-ওয়াজিব-মুবাহ কাজে, কর্ম সম্পাদনে এবং সম্পাদনের পথ গ্রহণে, কথা বলতে গিয়ে এবং এই কথা বলার পদ্ধতি বয়নে—সর্বক্ষেত্রে। সাহাবায়ে কেরাম রাসুলকে যা করতে দেখেছেন অথবা শুনেছেন সবই আমাদের জন্যে বর্ণনা করেছেন। তুলে ধরেছেন তার পথ ও পন্থা, ধরন ও ধারণ। খাওয়া, পান করা, নিদ্রা যাওয়া, কথা বলা, হাঁটা-চলা—সব; এমনকি মানুষ যা তার ঘরে একান্ত হয়ে করে। রাসুলের ব্যক্তিগত জীবনের সেই সকল বর্ণনার সংকলনই হলো ‘শামায়েল’ এবং এই গ্রন্থের আরবি নাম তা-ই ‘মিন মায়িনিশ শামায়েল’ (শামায়েলের ঝরনা থেকে)। সুতরাং গ্রন্থটি উপর্যুক্ত আয়াতটিকে কেন্দ্র করেই রচিত হয়েছে এবং রাসুল স. যেই বৈশিষ্ট্য, চরিত্র ও শিষ্টাচারে শোভিত, তার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে; যেন সূত্রটা নাগালে থাকে, সহজে পাওয়া যায়। তবে শামায়েল বিষয়ক অনেক গ্রন্থ বহু দুর্বল হাদিস গ্রহণের স্বাধীনতা নিয়েছে; কেননা, ফজিলতের ক্ষেত্রগুলিতে দুর্বল হাদিস অনুসারে আমল করা যায়। কিন্তু এই গ্রন্থে তেমনটি করা হয় নি। এখানে কোথাও সহীহ ও হাসান হাদিসের প্রাচীর পার হয় নি। একান্ত দুর্বল হাদিস এলেও তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে; এবং তা-ও করা হয়েছে পরিষ্কার ও পরিচিতির জন্যে, বিধান প্রতিষ্ঠার জন্যে নয়।
পুরো নাম : মো. মনযূরুল হক মোর্শেদ। জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯১, বরিশাল। তিনি কওমি মাদরাসা থেকে তাকমিল (মাস্টার্স) এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামিক স্টাডিজে অনার্স করেছেন। অবসর সময়ে লেখালিখি করেন। আরবি, উর্দু ও ইংরেজি সাহিত্য অনুবাদ তাঁর পছন্দের কাজ। তার অনুবাদ ও কলাম দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ও মাসিক পত্রে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৫ সালে বাংলাভাষার সবচে’ বড় ব্লগ ‘সামহোয়্যার ইন ব্লগ’থেকে তিনি সেরা ফিচার লেখক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন। ‘ইসলামি আইনের আলোকে বাংলাদেশের আইন’ বিষয়ে গবেষণা করছেন।