"মধ্যপ্রাচ্যে হাফেজ্জী হুজুর" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: হাফেজ্জী হুজুরের প্রতিটি পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য তো বটেই, বিরাট এ পৃথিবীর জন্যই ছিলো গর্বের ব্যাপার। উপমহাদেশ পেরিয়ে ইরান, হেজায ও ইরাকেও হাফেজ্জী হুজুরের পদচিহ্ন আজও জাজ্বল্যমান। কোমল হৃদয়ের অধিকারী আল্লাহর এ ওলির শুভাগমনে কেঁপে উঠেছিলো বাগদাদের রাজ সিংহাসন। সুপার পাওয়ার আমেরিকাকে সন্ত্রস্ত করা মহাপ্রতাপশালী সাদ্দামকে ছোট বাংলাদেশের অতি ছোট কামরাঙ্গীর চর থেকে গিয়ে বলেছিলেন— 'আমি এসেছি দীনের শর্ত নিয়ে। এ শর্তের ব্যাপারে আমি আপনার মত জানতে চাই। আমি চাই কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে আপনারা সন্ধি করে মুসলমানদের রক্তপাত বন্ধ করুন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- একজন মুসলমান হত্যা আল্লাহর কাছে পৃথিবী ধ্বংসের চেয়েও মারাত্নক।' সমকালীন ইসলামের এ মহামনীষী হযরত হাফেজ্জী হুজুরের জীবনের প্রতিটি অধ্যায় ও পাঠই একেকটি আলোর মিনার। হুজুরের শুধু মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক অধ্যায়টি নিয়ে অসাধারণ এক গ্রন্থ রচনা করে গেছেন সুসাহিত্যিক অধ্যাপক আখতার ফারূক রহ.। 'মধ্যপ্রাচ্যে হাফেজ্জী হুজুর' শীর্ষক এ সুপাঠ্য গ্রন্থটি সুসম্পাদিত করে এবার প্রকাশ করলো মাকতাবাতুল হেরা। উল্লেখ্য যে, 'মধ্যপ্রাচ্যে হাফেজ্জী হুজুর' শীর্ষক আলোচিত এ বইটি ইতোপূর্বে লেখকের জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়েছিলো। বছরখানেক পূর্বে লেখকের বড়ছেলে জনাব দানিয়েল সেই বইয়ের একটি ফটোকপি আমাদেরকে প্রদান করে বইটি প্রকাশের অনুমতি দেন। পুরনো বইয়ের সেই ফটোকপিকে আমরা এক বছরের পরিশ্রমে সুসম্পাদিত করে প্রকাশের উপযোগী করি। শিয়া সম্প্রদায়ের প্রতি উদারতার ইস্যুতে যে বিতর্ক উঠেছিলো, সেই ব্যাপারটি নিপুণভাবে আমরা এই পরিমার্জিত সংস্করণে এড়িয়ে যাই। পাশাপাশি আগের প্রকাশিত কপিতে ফার্সি কবিতার কেবল অর্থ ছিলো, আমরা সেখানে মূল কবিতাগুলো সংযোজন করি। এবং যেখানে যেখানে কুরআনের আয়াতের শুধু অর্থ ব্যবহৃত হয়েছিলো, সেখানে আমরা মূল আয়াতও সংযোজন করেছি, আলহামদুলিল্লাহ। ঐতিহাসিক এ বইটির পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।