"শতাব্দী সেরা কিশোর গোয়েন্দা কাহিনি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: কিশাের বন্ধুদের কাছে গােয়েন্দা কাহিনি অত্যন্ত মজার, আনন্দের, রহস্য ও রােমাঞ্চের । এসব কাহিনি তাদের নানাভাবে আন্দোলিত করে। তারা গােয়েন্দা কাহিনি পড়তে ভালােবাসে। আমাদের দেশে আশির দশক থেকে গােয়েন্দা কাহিনি, অ্যাডভেঞ্চার ও রহস্য গল্প অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সে সময় সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার কাজী আনােয়ার হােসেন একদিকে পেপারব্যাক ‘মাসুদ রানা সিরিজ দিয়ে লক্ষ লক্ষ তরুণ পাঠকের মন জয় করতে সক্ষম হন । অপরদিকে তিন গােয়েন্দার খ্যাতিমান লেখক রকিব হাসান ‘কিশাের মুসা রবিন’ সিরিজ দিয়ে এদেশের কিশাের পাঠকদের মনে স্থায়ী জায়গা করে নেন। মূলত তাঁরই সুবাদে এদেশে গােয়েন্দা কাহিনির বৃহত্তর পাঠকশ্রেণি রয়েছে। তাদের কথা মাথায় রেখেই বিশ্বখ্যাত কয়েকজন লেখকের শতাব্দী সেরা কিশাের গােয়েন্দা কাহিনির সংকলনে গ্রন্থটি সাজানাে হয়েছে। এতে শুরুতেই ডরােথি এল. সেয়ার্স-এর ‘চিচিং ফাক!” অনবদ্য এক কিশাের গােয়েন্দা কাহিনি। তেমনি হেনরী স্নেসার-এর ‘প্রাইভেট ডিটেকটিভ' অসাধারণ গােয়েন্দা রহস্য। এভাবে ম্যাক্স ভ্যান ডারভিরের ‘খুনি’, আর্থার উইলিয়ামসের ‘আমিই হত্যাকারী’ কিংবা আগাথা ক্রিস্টির ‘অপহরণ ও প্রখ্যাত লেখক এডগার অ্যালান পাে’র ‘রহস্যময় পত্র’, নিকোলাস বেন্টলি’র ‘ডিটেকটিভ’ মিলিয়ে ১৯টি অনবদ্য কাহিনি পাঠককে নানাভাবে রােমাঞ্চিত করবে।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।