“দুশ্চিন্তা মুক্তির উপায়" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বাসের পাদানীতে পা রাখার তিল পরিমাণ জায়গা নেই। তবুও আরাে মানুষ বাসের হ্যান্ডেল ধরে ওঠার চেষ্টা করছে। অথচ এতে আছে নানা রকমের দুর্ঘটনার ঝুঁকি। কিন্তু মানুষ কি তাতে দমে যাচ্ছে? যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসে কিংবা অন্য কোন যানবাহনের মাধ্যমে গন্তব্যস্থলে যাবার প্রানান্তকর চেষ্টা চালান তাদেরকে না হয় একটু জিজ্ঞেস করুন, ভাই কেন এভাবে কষ্ট করে বাসে গাড়িতে উঠছেন? কেন বিপদের ঝুঁকি নিচ্ছেন? তারা কি উত্তর দিবেন তখন? নিশ্চয় বলবেন, আরে এ-তাে পাঁচ সাত মিনিটের ব্যাপার। একটু পরেই পৌঁছে যাচ্ছি গন্তব্যস্থলে। এ কোন ভাবে না কোন ভাবে কেটেই। যাবে । সিটে বসেই হােক আর বাদুড় ঝােলা হয়েই হােক এতে আর এমন কি-ই বা কষ্ট। আসলে আখেরাতের সাথে তুলনা করলে দুনিয়ার জীবনটাও ঠিক বাসের পাদানীতে ঝােলার মতই স্বল্পস্থায়ী, ক্ষণিকের। এতে সুখেরই কতটুকু মূল্য আর দুঃখেরই বা কতটুকু স্থায়িত্ব। মৃত্যু পরবর্তী অনন্ত জীবনের সাথে এর কোন যেন তুলনাই চলে না। এ প্ৰকত গন্তব্যস্থল আখেরাতের কথা আমরা যতটা ভাববাে, আল্লাহর কথা স্মরণ করবাে, তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলবাে, ঠিক ততটুকু অন্তর্দৃষ্টি আখেরাতের ব্যাপারে আমরা লাভ করবাে। দুনিয়ার সুখ-দুঃখ তখন বাসের পাদানীতে কোন রকমে ঝুলে থাকার মতই মনে হবে, হালকা হয়ে যাবে দুঃখ-কষ্ট। তাহলে আসুন না! ভেতরের পাতায় এ বিষয়ের লেখাগুলাে পড়ে দেখি ।
রশিদ আহমদ লুধিয়ানভি (উর্দু: مفتی رشید احمد لدھیانوی) (২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২ — ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০২) একজন দেওবন্দি পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত ও ফকিহ ছিলেন। তিনি করাচিতে জামিয়াতুর রশিদ ও আল রশিদ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি আহসানুল ফতওয়ার রচয়িতা।