লেখকে কথা এই বইয়ের সাথে যারা জড়িত তাদের সকলকের্ অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার জীবনে দেখা সকল নারীরাই যেন এখানকার একেকটা চরিত্র। যাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা, ঈশ্বরের প্রতি, যিনি আমাকে এতকিছু দিয়েছেন। শিনি এন্টনি, আমার সম্পাদক, বন্ধু, পরামর্শদাতা। সে প্রথম থেকেই আমার সাথে আছে, আমার প্রতিটা বইয়েরই প্রথম পাঠিকা সে। প্রায় একশ নারী, এই বই লেখার জন্য আমি যাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছি । অনেক জায়গায় আমি অনেকের অনুভূতি ও অন্যান্য বিষয় নিযে কথা বলেছি। এই সাক্ষাৎকার এই বইকে সার্থক করেছ্। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: আভা বাকেয়া, অদিতি প্রকাশ, আলশা অরোরা, অমিত আগারওয়ালা, এঞ্জেলা ওয়াং, অনুভা ব্যাং, অনুষা ভেঙ্কাটেশলাম, আয়েশা রাভাল, অবনী ঝুনঝুনওয়ালা, ভক্তি ভাট, ইরা ত্রিবেদী , জেসিকা রোজেনাবার্গ, করুণা সাজ্ঞু, কৃষেণ পারমার, কুশান পারিখ, মেঘনা রাও, মিশেল শেঠি, রচিতা চৌহান প্রমুখ-সবার উৎসাহ, সাপোর্ট আর মতামত এই বইকে পূর্ণতা দিয়েছে, এমনকি আমাকেও। রূপা প্রকাশনীর সম্পাদকদের অসংখ্য ধন্যবাদ। রূপার বিত্রেূতারা, এমনকি অনলাইনের ডেলিভারি দেয়া সেই ছেলেমেয়রা যারা আমার বইকে পাঠকের দরজায় নিয়ে যায় তাদেরও ধন্যবাদ। আমার সমালোচকদেরও ধন্যবাদ। আমার মা রেখাভগত, যিনি আমার জবিনের প্রথম নারী । আমার স্ত্রী অনুষা ভগত তাদেরকেও ধন্যবাদ।
মুখবন্ধ কিছু মানুষ সহজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমি তাদের মতো নই। কিছু মানুষ রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিযে যায়। আমি তাদের মাতোও নই। এখন রাত তিনটা বাজে, আমি দু ঘণ্টা ধরে বিছানায এপাশ ওপাশ করছি । আর মাত্র পনের ঘণ্টার ভেতর আমার বিয়ে । আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গোয়ার এই হোটেলে এখন দুইশত অতিথি রয়েছে। সবাই খুব উৎসবমুখর পরিবেশে। কেননা মেহতা পরিবারের এটাই প্রথম বড়সড় বিয়ের অনুষ্ঠান। আমিই কনে। আমার এখন সুন্দর একটা ঘুমের প্রয়োজন, অথচ আমি তা পারছি না। আমার এখন চিন্তার বিষয় থাকা উচিৎ ‘সৌন্দর্য’ । কিন্তু আমার চিন্তার বিষয় কিভাবে আমি এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাবো। কারণ এখন আমি এমন একটা বিব্রতকর অবস্থায় আছি যে বুঝতে পারছি না কি ঘটতে যাচ্ছে এরপর ।
চেতন ভগতের বই ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’ এর কথা কে না শুনেছে? তুমুল জনপ্রিয় এ উপন্যাস অবলম্বনে সম্প্রতি বলিউডে একটি সিনেমাও নির্মিত হয়েছে। এই একটি বইয়ের নাম থেকেই উপলব্ধি করা যায় চেতন ভগতের লেখা বইসমূহ কতটা পাঠকপ্রিয়। তবে তার লেখা অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ এটিই প্রথম নয়। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া বলিউড সিনেমা ‘টু স্টেটস’ও তারই লেখা ‘টু স্টেটস: দ্য স্টোরি অব মাই ম্যারেজ’ বই অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল। অন্যদিকে, ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কাই পো চে’ সিনেমাটি নির্মিত হয়েছিল তার ‘দ্য থ্রি মিস্টেকস অব মাই লাইফ’ বই অবলম্বনে। তবে, তার লেখা ‘ফাইভ পয়েন্ট সামওয়ান- হোয়াট নট টু ডো অ্যাট আইআইটি’ বই অবলম্বনে নির্মিত চলচিত্র ‘থ্রি ইডিয়টস’ তো বলিউড ইতিহাসেই অন্যতম সেরা সিনেমার আসন পেয়েছে। চেতন ভগত এর বই সমূহ কতটা সুখপাঠ্য এবং সেগুলোর গল্প কতটা চমৎকার, তার প্রমাণ তার আন্তর্জাতিক বেস্টসেলার বইগুলোই। ‘ফাইভ পয়েন্ট সামওয়ান’ আর ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’ ছাড়াও চেতন ভগত এর বই সমগ্র-তে আছে ‘ওয়ান নাইট @ দ্য কল সেন্টার’, ‘রিভ্যোলুশন’, ‘হোয়াট ইয়াং ইন্ডিয়া ওয়ান্টস’ এর মতো আন্তর্জাতিক বেস্টসেলার বই। এ বইগুলোর মাধ্যমে তার জনপ্রিয়তা ভারত ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৮ সালেই নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায় ভারতের ইতিহাসে সর্বাধিক ইংরেজি বিক্রি হওয়া লেখকের নাম চেতন ভগত। ২০১০ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ জন মানুষের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। চেতন ভগতের জন্ম ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হওয়ায় তিনি সেনা স্কুলে পড়ালেখার সুযোগ পান। পরবর্তীতে আইআইটি দিল্লি থেকে স্নাতক এবং আইআইএম আহমেদাবাদ থেকে ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। শিক্ষাজীবন শেষে ১১ বছর ব্যাংকে চাকরি করে লেখালেখিতে যুক্ত হন। এরপর থেকে তিনি মুম্বাইতে বসবাস করছেন। তার লিখিত বইয়ের সংখ্যা সাত, যার প্রতিটিই বেস্টসেলার।