সভ্যতার সাতকাহন (হার্ডকভার)

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ; পাঠকনন্দিত এক সব্যসাচী তরুণ। ১৯৯৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের গােপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলাধীন আশুতিয়া গ্রামে তার জন্ম। পবিত্র কোরআনের হিফজ করেছেন। ফরিদপুরের মাদরাসা আবদুল্লাহ বিন উমর (রা.)-এ। হাদিসে মাস্টার্স করেছেন ঢাকার জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগে। বিশ্বখ্যাত বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দে পড়েছেন উচ্চতর হাদিস বিষয়ে। ইসলামি আইন ও বিচার বিষয়ে পড়েছেন ভারতের দেওবন্দেই অবস্থিত জামিয়া ইমাম মুহাম্মদ (রহ.)-এ। বর্তমানে তিনি মুজাহিদে আজম আল্লামা শামসুল হক ফরিদপরি (রহ.) প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম (গওহরডাঙ্গা মাদরাসা)-এর ফতােয়া ও আরবি সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। সমকালীন তরুণ লেখকদের মাঝে বহুমুখী এক প্রতিভার নাম মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ। গল্প, কবিতা, ফিচার, মুক্তগদ্য, কলাম, প্রবন্ধ-নিবন্ধসহ সাহিত্য-সাংবাদিকতার প্রায় সব শাখাতেই তার অবাধ বিচরণ। মাতৃভাষা বাঙলার পাশাপাশি সম্মানের সঙ্গে লিখছেন উর্দু, হিন্দিভাষায়ও। বাংলাদেশের শীর্ষ জাতীয় দৈনিকগুলাে ছাড়াও ভারত, পাকিস্তানের বাঙলা, হিন্দি ও উর্দুভাষার শীর্ষ জাতীয় দৈনিকে রাখছেন নিজ মেধার স্বাক্ষর। এ ছাড়াও বাঙলাভাষায় প্রকাশিত সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক বেশ কয়েকটি সাময়িকীতে কাজ করছেন নিয়মিত। পাঠকপ্রিয় সাহিত্যের ছােটকাগজ প্রতিভাসও রয়েছে তার সম্পাদনার ক্যারিয়ারে। ২০১২ সালের মে মাসে কবিতায় অন্যধারা সেরা লেখা পুরস্কার পান তিনি। দেয়ালিকাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখে ও সম্পাদনা করে এবং আরবি-বাংলা বক্তৃতায় নানা পুরস্কার পান মেধাবী এ লেখক। বইমেলা ২০১৩ সালে অন্যধারা থেকে বেরিয়েছে তার প্রথম গ্রন্থ ‘বাড়িয়েছি হাত অধরায়’ (গল্প)। এরপর যথাক্রমে বেরিয়েছে ‘বেলা অবেলার মঞ্চ' (মুক্তগদ্য) নামে তার দ্বিতীয়, ‘গুমরে মরি একলা ঘরে’ (উপন্যাস) নামে তার তৃতীয় ও ‘মহীয়সী নারীদের দিনরাত’ (অনুবাদ) নামে তার চতুর্থ, কোরবানির তােহফা’ নামে তার পঞ্চম ও সভ্যতার সাতকাহন” নামে তার ষষ্ঠ গ্রন্থ। “দাদারাজ্যে যাবার পথে তার প্রকাশিত সপ্তম গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায় তার আরও বেশ কয়েকটি গবেষণা, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও ভ্রমণবিষয়ক বই।