"কালের পরীক্ষা ও আমার জীবনের দিনগুলি" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ কালের পরীক্ষা ও আমার জীবনের দিনগুলি, (দি টেষ্ট অফ টাইম : মাই লাইফ এন্ড ডেইজ) বইটি তমিজউদ্দিন খানের অসমাপ্ত আত্মকথার অনুবাদ। ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি যা প্রত্যক্ষ করেছেন তার মােটামুটি সবটুকুই লিপিবদ্ধ করে গেছেন। কিন্তু পুরাে কাজ শেষ করে যেতে পারেন নি। তবে ঘটনা পরম্পরা বা সে ঘটনাগুলাের সাথে তাঁর ঘনিষ্ট যােগাযােগের বিশদ বর্ণনা রেখে যেতে ভুল করেননি। ১৯২৬ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তার রেখে যাওয়া তথ্যপঞ্জি অনুযায়ী বইটি লিখিত হয়েছে। বিভিন্ন দলিলপত্র, অভিজ্ঞতা এবং তাঁর পরিচিতদের সাথে আলােচনার ভিত্তিতে সুচারুভাবে বইটি লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রথম থেকে চতুর্থ অধ্যায় পর্যন্ত বর্ণনা তমিজউদ্দিন খানের নিজের এবং তা অবিকলভাবে ছাপা হয়েছে। আর ভূমিকাসহ বইয়ের বাকি অংশে তাঁর কর্মবহুল জীবনচিত্র আঁকার চেষ্টা করা হয়েছে। তমিজউদ্দিন খান আত্মজীবনী লিখতে শুরু করেন পঞ্চাশাের্ধ বয়সে। তিনি ১৯৬১ সালের শেষ অবধি লেখা চালিয়ে যান। তিনি তাঁর জীবনের পারিপার্শ্বিক ঘটনার বিশদ বিশ্লেষণের ওপর জোর দেন। লেখার আগে তার শুভানুধ্যায়ী বা সহকর্মীদের সাথে আলাপ আলােচনা করতে ভুল করতেন না। যাদের সাথে সবচেয়ে বেশি আলােচনা করতেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন জ্ঞানতাপস (জাতীয় অধ্যাপক) আব্দুর রাজ্জাক। তাঁদের দুজনের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ আলােচনায় এই অনুবাদকের (রাজিয়া খান) উপস্থিত থাকার সুযােগ হয়েছিল। আর সে আলােচনা থেকে পাওয়া ঘটনাসমূহ সঠিকভাবে তাঁর আত্মজীবনীতে এসেছে।